ঢাকার পাঁচটি আসন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে দিবে বিএনপি?

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ২৩ ২০১৮, ২২:০৬

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসন বণ্টন নিয়ে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর মধ্যে দরকষাকষি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। ঢাকার পাঁচটি আসন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের দিতে চায় বিএনপি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে ঢাকা-১৩, জেএসডির তানিয়া রবকে ঢাকা-১৮, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টুকে ঢাকা-৭, সুব্রত চৌধুরীকে ঢাকা-৬, ও ড. কামাল হোসেনের মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেনকে ঢাকা-১২ আসন দিতে চায় বিএনপি। এছাড়া বিএনপির কাছে ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সেক্রেটারি জেনারেলের জন্য ঢাকা-১৫ আসন চাওয়া হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিডয়াকে জানান, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আসন বণ্টন নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো কিছু হয়নি। এ নিয়ে জোটের শরিকদের মধ্যে কোনো সমস্যা হবে না। সবাই ছাড় দেয়ার মানসিকতা পোষণ করছেন। কারণ এ মুহূর্তে সবার লক্ষ্য দুঃশাসন থেকে মুক্তি। তাই বাস্তবতার ভিত্তিতে যোগ্য ও শক্তিশালী প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার ব্যাপারে একমত হবেন।

জানা যায়, পুরনো মিত্র ২০ দলীয় জোট ও নতুন মিত্র জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সর্বোচ্চ ৭০-৮০টি আসন ছাড় দিতে পারে বিএনপি। এর মধ্যে ঐক্যফ্রন্ট পেতে পারে সর্বোচ্চ ২০টি আসন। বিএনপি অধ্যুষিত নির্বাচনী এলাকায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ এবং জাতীয় নেতাদের আসন ছাড় না দিয়ে ঢাকার আসন দিতে চায় দলটির হাইকমান্ড। জাতীয় পর্যায়ের নেতা হিসেবে রাজধানীর ভোটারদের কাছে তারা গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হতে পারেন বলে বিবেচনা করছে বিএনপি।

এদিকে ২০ দলের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীও ঢাকা-১৫ আসন চেয়েছে বিএনপির কাছে। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান সেখানে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দলটির নিবন্ধন বাতিল হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে এ আসন ছাড়বে কি না, সে ব্যাপারে বিএনপির কাছ থেকে এখনও কোনো সংকেত পায়নি জামায়াত।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য এহসানুল মাহবুব জোবায়ের যুগান্তরকে বলেন, ঢাকা-১৫ আসন দলের সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আশা করছি এ আসনটি আমরা পাব। আমরা দেখেছি, অন্য দলের বড় পর্যায়ের কোনো নেতা এ আসনে নেই। এসব হিসাব-নিকাশ করেই এ আসন জোটের কাছে চাওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ধানের শীষে নির্বাচন করব কি না, দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব।