ডাকসু ভিপিকে নির্মমভাবে পেটানোয় ঢাবি শিক্ষকের হৃদয়বিদারক স্ট্যাটাস ভাইরাল

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ২২ ২০১৯, ১৭:৪৬

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কর্তৃক ঢাকসু ভিপিকে লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটানোয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুশাদ ফরিদী এক হৃদয়বিদারক স্ট্যাটাস দেন তার নিজস্ব ফেসবুক পাতায়। মুহূর্তেই সেটি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

একুশে জার্নাল পাঠকদের জন্য তার সেই স্ট্যাটাসটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো-

শিক্ষকতা ছেড়ে দেয়ার সময় হয়েছে। চোখের সামনে ডাকসু ভিপি নুরু আর অন্যান্য ছাত্রদের মেরে শেষ করে ফেলা হল। কিছুই করতে পারলাম না। নিজেদের ছাত্রদের রক্ষা করতে পারি না এই শিক্ষকতার কি দাম আছে? ডাকসু অফিসের দোতলায় উঠে দেখি কেউ কেউ পানি পানি বলে চিতকার করছে। কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।

ওরা দরজা বন্ধ করে বসেছিল। বার বার আশ্বাস দেয়ার পরেও ভয়ে দরজা খুলছে না। বলছিল, লাইট নিভিয়ে দিয়ে লোহার রড দিয়ে এলো পাথারি মারা হয়েছে। কয়েক বোতল পানি শুধু এগিয়ে দিতে পারলাম। এইটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়? আর আমিও একজন শিক্ষক? ছিঃ ছিঃ ছিঃ

প্রশ্ন উঠেছে, দেশসেরা সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক যখন এমন স্ট্যাটাস দিতে বাধ্য হন তখন দেশে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ কেমন তা তো দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার। কিন্তু এ থেকে মুক্তি কোথায়?

ডাকসু ভিপি নুরকে পেটানোর ভিডিও একুশে চ্যানেলের ফেসবুকে পোস্ট করলে ভিডিও দেখে দর্শকরা বিভিন্ন মন্তব্য করেন। বাছাই করা কয়েকটি মন্তব্য নিচে তুলে ধরা হলো-

প্রিন্স খান নামের একজন লিখেছেন- ওরা নামটা মুক্তিযোদ্ধা ব্যবহার করবে‌। কিন্তু কাজটা রাজাকারদের মত। সন্ত্রাসী ওরাই।

আমিনুল ইসলাম মুজাহিদ লিখেছেন- প্রশাসনের সহায়তায় হামলা। হামলাকারীরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এরা, রাজাকারের বাচ্চা। আ’লীগেরই অংশ। এটা সমকামীদের সংগঠন।

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর নামে একজন লিখেছেন- এটা কোন দেশের নীতি! একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে ওরাজকতা চললে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা নিবে কি করে! এরা দেশের শত্রু। জাতির শত্রু। এদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।