টঙ্গীতে হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাইলেন ফরিদ উদ্দিন মাসউদ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ০২ ২০১৮, ০৮:২৪

টঙ্গীর এই নির্মম হতাহতের ঘটনার সঙ্গে যে বা যারাই যেই দল বা মতের লোকই হোক না কেন তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে জানিয়ে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান ও ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার গ্র্যান্ড ইমাম শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বলেছেন, তাবলীগের দুই পক্ষের সাথীদের মধ্যে জোড়ের জায়গা দখল নিয়ে অপ্রীতিকর ও নির্মম ঘটনা খুবই দুঃখের। টঙ্গী ময়দান নিয়ে এরকম নির্মম লড়াই কেউ কামনা করে না।ইসলাম কখনোই এ ধরনের লাঠালাঠি, মারমুখী তাবলীগের কাজ সমর্থন করে না। এটা কখনো তাবলীগের কাজই হতে পারে না।

অপ্রীতিকর এই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবিও করেছেন আল্লামা মাসঊদ।

শনিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার কেন্দ্রীয় অফিস খিলগাঁও থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা মাসঊদ এ বিচার দা্বি করেন।

তাবলীগের কাজ সরাসরি নবীওয়ালা কাজ উল্লেখ করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, আমাদের প্রিয় নবীজী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের উপর দাওয়াত ও তাবলীগের যে দায়িত্ব দিয়ে গেছেন তা পালনের এরকম লাঠালাঠির তো কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের জঘন্য অন্যায় ও অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া কখনোই ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখবে না বরং ক্ষতি করবে। ক্ষতি হবে এ দেশের আলেম উলমা ও দ্বীনদরদি মানুষের।

ধৈর্য ও সংযমের আহ্বান জানিয়ে আল্লামা মাসঊদ বলেন, দ্বীনের দায়ীদের সবচেয়ে বেশী সহনশীল হতে হয়। ধৈর্য ও সংযমের এখনই সবচেয়ে বড় সময়।পারস্পরিক সংঘাতের মাধ্যমে ইলায়ে কালিমাতুল্লাহর কাজ সম্ভব নয়।

হৃদ্যতা আর ভালোবাসার মাধ্যমেই জগতের মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকতে হয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, শনিবার সকাল থেকেই তাবলীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ক্রমে সংঘর্ষের রূপ নেয় টঙ্গী থেকে বিমান বন্দর পর্যন্ত। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী ও কাকরাইরের মুরুব্বী মাওলানা জোবায়ের আহমদ-এর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে।

এসময় দুপক্ষের সংঘর্ষে ইজতেমা ময়দান রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে মুন্সিগঞ্জের মিলকীপাড়া গ্রামের ইসমাইল মণ্ডল (৭০) নামে এক মুসল্লির মৃত্যুর হয় বলে জানা গেছে। আহত হন অন্তত দুই শো মুসল্লি। এদেরকে টঙ্গী সদর হাসপাতালসহ আশপাশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।