জেএসসির ফলপ্রকাশ: ঘরে ঘরে মাতম আর ক্ষোভ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ২৪ ২০১৮, ১৩:১৩

আবির আবরার:

অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী; ৬৮ হাজার ৯৫ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। গত বছর জেএসসি-জেডিসিতে সম্মিলিতভাবে ৮৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। এর মধ্যে এক লাখ ৯১ হাজার ৬২৮ জন পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পেয়েছিল।

সেই হিসেবে এবার এ পরীক্ষায় পাসের হার বাড়লেও পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যায় বড় ধস নেমেছে। আর এই ধসের ফলে ঘরে ঘরে শোনা যাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের কান্নার রোল ৷ অভিভাবকদেরও দেখা গেছে চিন্তাগ্রস্থ ও ক্ষুব্ধ ৷ কান্নারত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, “আমরা যেমন পরীক্ষা দিয়েছি তাতে গোল্ডেন জিপিএ পাব বলে আশাবাদী ছিলাম ৷ মা, বাবা ও স্যারগণও নিশ্চিত আমরা জিপিএ পাঁচ পাব ৷ কিন্তু রেজাল্ট পেলাম জিপিএ ফোর! এটা মেনে নেওয়া যায় না ৷ আমরা সঠিক মূল্যায়ন পাইনি ৷”

অভিভাবকগণ খাতা মূল্যায়নকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেছেন, “যারা খাতা দেখতে পারে না তাদেরকে খাতা দেখতে দেওয়া হয়েছে বলেই এমন ফলাফল ৷ আমাদের ছেলে-মেয়েদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আমরা সহ্য করব না ৷ আমরা বোর্ড চ্যালেঞ্জ করব ৷”

ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তরের পর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে অষ্টমের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়ের নম্বর ধরেই ফলাফল হিসাব করা হত। মূল্যায়ন পদ্ধতির ধারাবাহিক পরিবর্তনের অংশ হিসেবে এবার তা করা হয়নি। এ কারণেই জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “চতুর্থ বিষয়ের নম্বর যোগ করলে দেখা যাবে জিপিএ ফাইভ আবার বেড়ে গেছে।”

অনেকেই এমন পরিবর্তনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চতুর্থ বিষয়ের নম্বর ফলাফলে হিসাব না করা অনুচিত হয়েছে ৷ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্দান্ত নেয়ার আগে সবার মতামত নেয়া উচিত ছিল ৷ প্রায় দেড় লাখ শিক্ষার্থীকে একটি নিয়মের কষাঘাতে জিপিএ পাঁচ থেকে বঞ্চিত করাটাকে কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না ৷