জালিয়াতি সংসদ অধিবেশন বসার সাংবিধানিক অধিকার নেই; মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ৩০ ২০১৯, ১৩:৫৪

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের যোগশাজসে ৩০ ডিসেম্বর যে প্রহসন ও কলঙ্কের নির্বাচন করেছে তাতে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে জনগণ আতঙ্কিত। দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ভোট ডাকাতি ও অবৈধভাবে রাতের অন্ধকারে ব্যালট বাক্স ভরে যাদেরকে সংসদ সদস্য ঘোষণা করা হয়েছে তাদের বিবেকে পচন ধরেছে। তাদেরকে নিয়ে জাতির আস্থার স্থল মহান সংসদের অধিবেশনের সাংবিধানিক কোন অধিকার নেই। প্রিন্সিপাল মাদানী আরো বলেন, সরকার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করাসহ নির্বাচনে প্রশাসনের অপকর্ম সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। তাই নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিয়ে জনগণকে আস্থায় আনতে হবে। অন্যথায় এ দায়ভার নির্বাচন কমিশন ও সরকারকেই বহন করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, একটি সংস্থার রিপোর্টে বাংলাদেশে দুর্নীতি আরও বেড়েছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকারের ক্ষমতায় অধিষ্টিত হওয়ার প্রক্রিয়াটিই ছিল শতভাগ দুর্নীতিযুক্ত। এব্যাপারে তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

গতকাল বিকাল ৪টায় পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রশ্নবিদ্ধ সরকারের প্রথম সংসদ অধিবেশন বসার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব এটিএম হেমায়েত উদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন নগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম। প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মুফতী মাছউদুর রহমান প্রমুখ।

উত্তর সিটি নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখান করে প্রিন্সিপাল মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ বলেন, নির্বাচনের নামে ভোট ডাকাতি করে জনগণের ও রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করার প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কমিশন ও প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বসে মেয়র ও কাউন্সিলর নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে দিলেই জনগণের অর্থ বেচে যাবে।