জামায়াতিরা কওমী মাদরাসা নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছে -ফরিদ উদ্দিন মাসউদ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ০৫ ২০১৯, ১৮:১১

আইমুম ফিদা : কওমি মাদরাসার নিয়মিত ছাত্র না হয়েও হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে অনুষ্ঠিত দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ডিগ্রি পেলেন শিবির সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন। অত্যন্ত গোপনে পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। ফলাফল প্রকাশের পর এটা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। দাবি উঠেছে, দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য শুধু মেশকাত ক্লাসের সনদ বাধ্যতামূলক নয়, বরং সব স্তরের সনদ ও কওমি মাদরাসার নিয়মতান্ত্রিক ছাত্রত্ব থাকতে হবে।

তিনি আল জামিয়াতুল উসমানিয়া দারুল উলুম, সাতাইশ, টঙ্গি মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। আর পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল টঙ্গীর চেরাগ আলীতে অবস্থিত দারুল উলুম মাদরাসা। মোবারক হোসাইনের রোল নম্বর ৬৯৪৫। কওমিকণ্ঠ এর কাছে তার মার্কশীট রয়েছে

এ বিষয়ে জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদ বলেন, আমার কিছুতেই বুঝে আসছে না যে, দেওবন্দী মাদরাসায় মওদুদীর চরম ভ্রান্ত আক্বীদা লালনকারীরা কীভাবে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। আর এটা চরম লজ্জার বিষয় যে, কট্টরপন্থী মওদুদীবাদী শিবিরের দায়িত্বরত সভাপতিকে ভর্তি সুযোগ কীভাবে দিলো? যে মাদরাসা থেকে সে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে নিশ্চয়ই সে মাদরাসা মওদুদীর অনুসারী বা জামায়াতে কমী রয়েছে। তা না হলে সে কীভাবে ভর্তি হওেয়ার সুযোগ পেলো। তাই মাদরাসা দায়িত্বশীলদের বিরোদ্ধে হাইয়াতুল উলইয়ার আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা উচিত। এবং সাথে সাথে সেই মাদরাসার ইলহাক বাতিল করা হউক।

আল্লামা মাসঊদ বলেন, এখানে হাইয়াতুল উলইয়াকে দোষারূপ করা যাবে না, কেননা কতৃপক্ষ তো মাদরাসা ওয়ালাদের উপর দীর্ঘদিন যাবত বিশ্বাস রেখেই পথ চরছে। এখন যদি কোন মাদরাসা ওয়ালারা বিশ্বাস নষ্ট করে বা জামায়াতী ইন্ধনে অছাত্র, দেওবন্দী আক্বিদা বিরোধীদের সুযোগ দেয় তাহলে তো হাইয়াতুল উলইয়ার উচিত তাদের বিরোদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া। এভাবে যাতে অছাত্ররা সরাসরি দাওরা মেশকাতে ভর্তি না হতে পারে সে ব্যাপারে মাদরাসাগুলো দায়িত্বশীলদের কঠোর হওয়া এবং চোখ কান খোলা রাখতে হাইয়াতুল উলইয়ার পক্স থেকে নির্দেশনা পাঠানো। যাতে এরকম ঘটনা দ্বিতীয় বার না ঘটে।

তিনি বলেন, আর জামায়াত বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে মার খেয়েছে তাই তাদের সাংগঠনিক মজবুতির জন্য আন্ডাগ্রাউন্ডে বিভিন্ন ফন্দি আকছেঁ। আর এর পাশাপাশি তারা এদেশের কওমী মাদরাসাগুলোকে নষ্ট করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা জ্ঞান অর্জনের জন্য নয় বরং মাদরাসা নষ্ট করার জন্য কওমীতে ভর্তি হয়।

উল্লেখ্য, আল হাইআতুল উলইয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে অনুষ্ঠিত ১৪৪০ হিজরি শিক্ষাবর্ষের দাওরায়ে হাদিস পরীক্ষায় ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোবারক হোসাইন ৬৯৬ নম্বর পেয়ে জায়্যিদ জিদ্দান বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে।