জনগণের মতামতকে মূল্য দিতে শপথ নিচ্ছেন সুলতান মনসুর

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ২৯ ২০১৯, ১৩:২৩

নূর উদ্দীন মুহাম্মদ ইয়াহইয়া (কুলাউড়া প্রতিনিধি): গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো জনপ্রতিনিধি এখনও শপথ নেননি। ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে তাদের সংসদ সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। ওইসব আসনে উপ-নির্বাচন দিতে হবে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে নির্বাচিত ৮ প্রতিনিধির শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের কেউ আজও শপথ নেননি।

তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে থেকে সরে এসেছেন ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে জয়ী দুই জনপ্রতিনিধি। তারা হলেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান। তারা দু’জনেই শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শপথ নেয়ার কারণও জানিয়েছেন তারা।

ঢাকসু সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সুলতান মনসুর মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। আর সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন গণফোরামের মোকাব্বির খান। সুলতান মনসুর ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করেছেন। আর সিলেট-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যাওয়ায় গণফোরাম নেতা মোকাব্বির ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন নিয়ে উদীয়মান সূর্য প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন।

ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মনসুরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে একুশে জার্নালকে শপথ নেওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জনগণের মতামত মূল্য দিতে এ শপথ নিচ্ছি। তবে আমি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ হয়ে বিশ্রামে আছি। এই সময়টাতে আমার নির্বাচনী এলাকা জনগণ, যারা শত ঝুঁকি নিয়েও আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সারাদেশের অনেক নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মতামতও আমি নিয়েছি। আমি একজন মানুষও পাইনি যিনি আমার শপথের বিপক্ষে। সবাই একবাক্যে বলেছেন আমার নির্বাচনী এলাকার জনরায়কে মূল্য দিয়ে শপথ নিতে। যেহেতু জনগণের জন্য রাজনীতি করি সেহেতু জনগণের মতামতকে মূল্য দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের যেমন আমার প্রতি প্রত্যাশা রয়েছে, তেমনি আমারও দায়বদ্ধতা রয়েছে তাদের মতের প্রতি।
আইনি কোনো জটিলতা আছে কি না- জানতে চাইলে একুশে জার্নালকে তিনি জানান- এতে আইনি কোনো জটিলতা নেই। ঐক্যফ্রন্টের সাথে তার কোনো যোগাযোগ আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি কিছু দিন থেকে অসুস্থ থাকায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করতে পারছি না।
কবে নাগাদ শপথ নিবেন- জানতে চাইলে সুলতান মনসুর বলেন- একটু সুস্থতা বোধ করলেই আমি শপথ নিবো। আর শপথ নিয়েই আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় আসবো এবং জনগণের সাথে সাক্ষাৎ করবো।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮ আসনে নিরঙ্কুশ জয় পায়। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পায় ৮টি আসন।নির্বাচনে ভোট ডাকাতির ও ব্যালট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত প্রার্থীরা শপথগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্তে রয়েছেন।

ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল বিএনপির নির্বাচিত প্রার্থীরা শপথ নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন প্রথমে শপথের পক্ষে সায় দিলেও ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সবশেষ সেই সিদ্ধান্ত বদলে ঐক্যফ্রন্টের দুই প্রতিনিধি শপথ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।