“চৌধুরী কামরুল হাসান ইজ দ্যা বেষ্ট ফর ইটনা”

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ১৯ ২০১৯, ১৩:৪৬

রাকিবুল হাসান রোকেল

কিশোরগঞ্জ। এ জেলার বিশাল একটি এলাকা বছরের প্রায় ৬ মাস পানিতে ডুবে থাকে। কিশোরগঞ্জের ১৩ টি উপজেলার মধ্যে নিকলী, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও ইটনা অধিক বন্যাপ্রবন হাওর অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। যে হাওরের মানুষ কৃষি নির্ভর। এক ফঁসল তাদের জীবীকা উপার্জনের মাধ্যম।

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জনসাধারণের একটি নির্ভরতার প্রতীক তিনি। আশা,ভরসা আর সুশৃঙ্খল রাজনীতির বাঁতিঘর। ইটনা উপজেলার পাড়া-মহল্লার প্রতিটি কোণে স্থান করে নেয়া ভালবাসার এক উজ্জ্বল নিদর্শন চৌধুরী কামরুল হাসান।

আধুনিক ইটনা বিনিমার্ণের লক্ষে,
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের মাননীয় সাংসদ কর্মীবান্ধব জননেতা,প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক ভাইজানের প্রতিটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের অদম্য এক মহাকারিগরের হিসেবে কাজ করে যাওয়া মানুষটি হলেন চৌধুরী কামরুল হাসান।

যিনি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টার্স কমপ্লিট করেও প্রবেশ করেননি কোন উচ্চ মানের সরকারি চাকুরীতে। সহপাঠীরা সবাই যখন নিজের ক্যারিয়ার গড়তে ব্যস্ত,ঠিক তখনি আমাদের এই গর্বের ধন আজকের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ভার্টি-শার্দূল জনাব মোঃ আবদুল হামিদ মহোদয়ের তাৎক্ষণিক নির্দেশে তিনি ছুটে এসেছিলেন পিছিয়ে পড়া ইটনাকে শিক্ষার দিকে এগিয়ে নিতে। আর অতীতের ইতিহাসে শিক্ষিত কোন জনগোষ্ঠী কখনোই পিছিয়ে থাকেনি।

সেইদিন হাসিমুখে প্রতিষ্টাতা অধ্যক্ষ হিসেবে বিনা বেতনে দায়িত্বভার গ্রহন করেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল সরকারি কলেজের(সাবেক ইটনা মহাবিদ্যালয়)।নিজেকে ব্রত করেন মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে।
তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম মেধা-মনন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের সর্বাত্মক সহযোগীতায় তিল তিল করে প্রতিষ্টার রূপ ধারণ করতে থাকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ। বর্তমানে অত্র কলেজটি পরিপূর্ণ এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি কলেজ হিসেবে রূপ নিয়েছে।নির্মিত হয়েছে একাধিক আধুনিক একাডেমিক ভবন,শহীদ মিনার এবং নিরাপদ বেষ্টনী।
ভবনগুলোর দেয়ালের প্রতিটি ইটের সাথে রয়েছে যার গভীর মিতালি।

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক(ভারপ্রাপ্ত) প্রয়াত নেতা সাহাবউদ্দীন ঠাকুর মহোদয়ের মৃত্যু বিয়োগের পরবর্তী সময়ে বিচ্ছিন্ন এবং বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সকল নেতাকর্মীকে এক মঞ্চে সংঘবদ্ধ করতে একজন দক্ষ সংগঠকের ভূমিকায় নিজেকে মনোনিবেশ করেন ইটনার রাজনৈতিক অঙ্গনে। ইটনার রাজনৈতিক অঙ্গন ফিরে পায় তার আপন রূপ।একজন দক্ষ নেতৃত্বের অধিকারী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে। বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে জনসেবার এক উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন ইটনার সকল শ্রেনীপেশার হৃদয়ের মণিকোঠায়।

পাড়ার প্রতিটি আবাল,বৃদ্ধা,বনিতার মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন অফূরন্ত জনসেবার মাধ্যমে।এমনকি একজন সফল এবং আদর্শবান চেয়ারম্যান হিসেবে নাম লিখেয়েছেন ইটনার ইতিহাসে।ইতিমধ্যেই যিনি শ্রেষ্ট চেয়ারম্যান হিসেবে ইটনার নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছেন বিভাগীয় পর্যায়ে।দীর্ঘ পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত সততা এবং নিষ্টার সাথে।উপজেলা পরিষদের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় হয়তো সকলের উপকার করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।তবে জানাসার্থে কারো ক্ষতি করেননি বিন্দুমাত্রও।

সফলতার পাঁচ বছর শেষে তিনি আবারও নতুন দায়িত্বভার গ্রহন করার অভিপ্রায়ে দাড়িয়েছেন জনতার কাঠগড়ায়।উদ্দেশ্য একটাই ঐ যে জনসেবা। ওনাকে আবারও দায়িত্বভার দেওয়ার মহান দায়িত্বটা পড়েছে এখন আপনাদের হাতে।
আপনারাই ঠিক করবেন কে হবেন আপনাদের/আমাদের হাওরের ইটনার মহান অবিভাবক?

আমার দৃঢ় বিশ্বাস হৃদয়ে আপনারা অবিভাবক মনোনীত করতে অতীতের ন্যায় এবারও ভুল করবেন না নিশ্চয়ই।
মনে রাখবেন আল্লাহ না করুক, চৌধুরী কামরুল হাসান যদি হেরে যায়,হেরে যাবে ইটনা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা আমার মত অসহায়েরা।জিতে যাবে অবৈধ।
মজুতদার,কালোবাজারী,দখলবাজ,টেন্ডারবাজ আর লুটেরাজ’রা
অন্তত আমার নিজের অবস্থান থেকে আমি আধুনিক ইটনার একজন নগন্য নাগরিক হিসেবে আমার যৌবনের প্রথম প্রেম “বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’র অন্ধ প্রেমিকদেরকে সাথে নিয়ে প্রিয় এই মহান ব্যক্তিটির জন্য ছুটে যাবো নিজ এলাকার তরুণসমাজ, আবাল,বৃদ্ধাবনিতাসহ প্রতিটি মা-বোনের দোয়ারে।
আর বিনীত আহবান জানাবো সচেতন এবং সুনাগরিকদের প্রতি।যারা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার নিমিত্ত্বে নিজেকে একজন উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে মনে করেন।
আসুন আমরা সকল দ্বিধাদন্ধ,মান-অভিমান ভুলে গিয়ে চৌধুরী কামরুল হাসান মহোদয়ের স্বার্থে নয় আমাদের নিজেদের স্বার্থে একজন উচ্চশিক্ষিত, সৎ, ন্যায়বিচারক, নির্লোভ, নিরহংকারী, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং আদর্শবান ব্যক্তিকে বেচে নেই।

লেখকঃ শিক্ষানবিশ আইনজীবী কিশোরগঞ্জ জজকোর্ট।

সম্পাদনায়: মাহমুদুল হাসান / একুশে জার্নাল