চিকিৎসার অভাবে অন্ধ হয়ে যেতে পারেন খালেদা জিয়া

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ২৮ ২০১৮, ১৩:১৯

একুশে জার্নাল ডেস্ক: যথাযথ চিকিৎসা না পেলে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এমনকি তিনি অন্ধও হয়ে যেতে পারেন। এমন আশঙ্কা বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের। খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ শনিবার (২৮ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াহিদুর রহমান,অর্থপেডিকস বিষেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. কুদ্দুস। সংবাদ সম্মেলনে তারা প্রত্যেকেই দাবি করেন, কারাগারে খালেদা জিয়াকে উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হলে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিতে হবে।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াহিদুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন,‘তার (খালেদা জিয়া) এখন বেশি সমস্যা হচ্ছে ঘাড়ের হাড় ক্ষয়। এটি ক্ষয় হয়ে নার্ভটা চাপা পড়ে গেছে। ব্রেন থেকে যে নার্ভগুলো ঘাড় দিয়ে হাড়ের দিকে যায়, সেই নার্ভগুলো চাপা পড়ে গেছে। এতে তার বাম হাতের শক্তি কমে যাচ্ছে। তিনি বাম হাতে কিছুই ধরে রাখতে পারছেন না। প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে।’

খালেদা জিয়ার হাতের আঙুলগুলো ফুলে গেছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আগে থেকে তার এ সমস্যা। তাছাড়া তার কোমরের হাড়ও ক্ষয় হয়ে সেখানে যে স্পাইনাল কড আছে সেটাও চাপা পড়ে গেছে। এই হাড় অনেক শীর্ণ হয়ে গেছে—এ কারণে তিনি এখান থেকে ওখানে হেঁটে যেতে পারেন না। এসব সমস্যার কারণে যদি ঠিকমতো চিকিৎসা না হয় তাহলে তার প্যারালাইসিসও হয়ে যেতে পারে। প্রস্রাব-পায়খানার কন্ট্রোল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তার হাত-পা অবশ হয়ে যেতে পারে। এসব কারণে আমাদের মনে হয়েছে,তার যে চিকিৎসা দরকার তা কারাগারে সম্ভব নয়।’

অর্থোপেডিকস বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন,‘আমি বহুদিন থেকে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করি। তার স্বজনরা যারা দেখা করতে গেছেন, তাদের কাছে শুনেছি, তিনি হাঁটতে পারেন না। এর কারণ,তার পায়ের হাড় ক্ষয় হয়ে গেছে। তাকে দুইজন ধরিয়ে হাঁটা-চলা করান। তার দুই হাঁটুর অবস্থা করুণ। এগুলোর চিকিৎসা করতে হলে ফিজিওথেরাপি এবং ভালো পরিবেশে দরকার—যা কারাগারে সম্ভব নয়। যদি এ অবস্থা তাকে রেখে দেওয়া হয় তাহলে তিনি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন।’

চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. কুদ্দুস বলেন, ‘২০১৫ ও ২০১৭ সালে তার চোখে অপারেশন করা হয়। তার চোখের পানি শুকিয়ে যাওয়ার রোগ আছে। আমরা শুনেছি খালেদা জিয়ার চোখ লাল হয়ে গেছে এবং প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। তার সুচিকিৎসা করানো না হলে চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তিনি অন্ধ হয়ে যেতে পারেন