চাই চূড়ান্ত সিন্ধান্তের হিম্মত ও প্রজ্ঞা, কেবল প্রতিবাদ আর আর্তনাদ নয়

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ০৪ ২০১৮, ০৫:১৮

 

মুফতী হারুন ইযহার

তাবলীগ সঙ্কটের আসল ও কার্যকর সমাধান
রাজনৈতিক ধাঁচের কর্মসূচিতে নয়, বরং শীর্ষ উলামায়ে দ্বীনের চূড়ান্ত ও নিরঙ্কুশ ফয়সালামূলক মাশ্ওয়ারাতি বৈঠকে।
ওলামা সমাজের ঐতিহ্যবাহী ঈমানী, ইলমী ও সামাজিক অবস্থানের মুরোদ দেখাতে হবে।
এখন আবেগময় প্রতিবাদ নয়, প্রজ্ঞাপূর্ণ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের সময়। প্রতিবাদ দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ।

আর কোন ব্যাখ্যা নয়, সবকিছু এখন পরিষ্কার। মেরুকরণ এখন স্পষ্ট। আর কোন সমঝোতা-প্রস্তাবও নয়।
টঙ্গীতে নিপীড়িত হওয়ার মাধ্যমে ওলামাদের বৃহত্তর ঐক্য ও সহমর্মিতার একটা নজিরবিহীন ভাল পরিবেশ তৈরী হয়েছে।
বিরোধীদেরকে সমান মর্যাদায় সম্পৃক্তকরণের তাগাদা ফুরিয়েছ।

শীর্ষ মুহাক্কিক মুফতি ও শাইখগণ সিদ্ধান্ত নেবেন।
তারা এ অঞ্চলের নিজস্ব শুরা, নিজস্ব আমীর নির্বাচিত করবেন। দা’ওয়াতের মারকাযগুলো তারাই পরিচালনা করবেন। অবশ্যই কুরবানি ওয়ালা আওয়ামদেরকে সম্মানজনকভাবে আলেমদের সহযোগী হিসেবে রাখা হবে।
[ওলামাদের এ অরাজনৈতিক পরিষদ কেবল তাবলীগ নয় সকল জাতীয় সঙ্কটে তাদের পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণ দেবেন]

তাবলীগ সঙ্কট নিয়ে তাগুতের কাছে গিয়েও কোন দেন-দরবার নয়। মিডিয়াতেও এসব নিয়ে খুব বেশি কথা বলার প্রয়োজন নেই। মাওলানা সা’দ প্রসঙ্গে বেশি বক্তব্য না দিয়ে, স্থানীয় আলেমদের আনুগত্যে শরিয়াহ’র যে বাধ্যকতা রয়েছে সে দিকে মূল ফোকাস দিতে হবে।
স্বীকার করুন আর না করুন, শুকরানা মাহফিল সা’দপন্থীদেরকে ওলামাদের বিরুদ্ধে একটা নৈতিক মনোবল সরবরাহ করেছিল।
টঙ্গি সন্ত্রাসে উল্টো তারা এখন নৈতিক মনোবল হারিয়েছে।
বিপর্যয় বিজয়ের একটা মোক্ষম সুযোগ এনে দিয়েছে। আনুষ্ঠানিকতার চেয়ে লক্ষে পদার্পণের কৌশলটা দরকার বেশী।

কাকরাইল টঙ্গির চাবি চূড়ান্তভাবে হক্কানী রব্বানী ওলামাদেরকে বুঝে নিতে হবে।
কেউ এ চাবি দয়া করে দান করবেনা।

লেখক: মুহাদ্দিস, লালখান বাজার মাদরাসা,চট্টগ্রাম।