চবির ৫০ শিক্ষার্থী ভ্রমনে গিয়ে বন্দুকধারীর কবলে

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

এপ্রিল ২৭ ২০১৯, ২৩:৪১

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে বন্দুকধারীদের শিকার হয়েছেন বিভিন্ন বর্ষের ৫০ জন শিক্ষার্থী। বন্দুকধারী ছিনতাইকারীদের হামলায় প্রায় ৮-১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের অন্তত ২০টি মোবাইল খোয়া গেছে।

শনিবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ঝুপড়ির পেছন থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে চালন্দাগিরি পথে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রায় দেড় ঘন্টা পর তারা ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছান।

আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের আনোয়ার হোসেন, একই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মনিরুজ্জামান মনির, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সৌরভ দাশ। এদের মধ্যে আনোয়ারের মাথায় ও হাতে গুরুতর জখম থাকায় তাকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তফা কামাল।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী পাহাড়ি ঝর্ণা দেখতে চালন্দাগিরি পথে দিকে রওনা হন। এদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও যোগ দেয় তাদের মধ্যে ১৫ জন ছাত্রীও ছিলেন। এসময় তাদের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। প্রায় দেড় ঘন্টা হেটে চালন্দাগিরি পথে ঝর্ণায় পৌঁছে শিক্ষার্থীরা।

সেখান থেকে ফেরার পথে বন্দুকধারী ১৫-১৬ ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে। এসময় ছিনতাইকারীরা বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়ে। তাদের মুখে কাপড় বাধা ছিল। পরে এদের মধ্যে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের আনোয়ার হোসেন প্রতিবাদ করতে চাইলে তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। এসময় বেশ কয়েকজনকে বন্দুকের নল, রামদা দিয়ে আঘাত করা হয়। ছিনতাইকারীরা তাদের কাছে থাকা অন্তত ২০টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

শিক্ষার্থীদের ওই দলে থাকা নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আল-আমিন বলেন, আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম প্রায় ৫০ জনের মতো। ওরা প্রথমে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এর মধ্যে আনোয়ার ভাই প্রতিরোধের কথা বললে ছিনতাইকারীদের একজন শুনে ফেলে। তখন তাকে ধারালো রামদা দিয়ে আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থা আমরা তাকে প্রায় দুঘন্টা কাঁধে করে নিয়ে এসেছি। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এছাড়া তাড়া বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁক গুলিও ছোড়ে। আমাদের মধ্যে অনেককেই আঘাত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, বিষয়টি শুনেছি। পুলিশকে বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।

এই ঝিড়িপথে ঘুরতে প্রায়িই শিকার হতে হয় পর্যটকদের। এর আগে গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘুরতে গিয়ে ছিনতাইয়ের শিকার হন চবির ৩০ শিক্ষার্থী। দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে ছিনতাইকারীদের দাপট সবসময়ই বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা