চট্টগ্রাম কলেজে শুরু হলো “একাত্তরের চিঠি” প্রদর্শনী, চলবে ১৬ডিসেম্বর পর্যন্ত

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ১৩ ২০১৮, ১৬:৫৩

 এম ওমর ফারুক আজাদঃ চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ ক্যাম্পাসে আজ থেকে শুরু হয়েছে মহান মুক্তিযোদ্ধ চালাকালীন আত্মিয়দ ও পরিবার পরিবার-পরিজনদের কাছে পাঠানো যোদ্ধাদের দুর্লভ চিঠির প্রদর্শনী। দেশসেরা তালিকাভুক্ত এই সরকারী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ ক্যাম্পাসের শহিদ মিনার চত্বরে প্রদর্শনীটির আয়োজন করে। এতে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও শিক্ষকদের সার্বিক নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে ১৬টি দুর্লভ চিঠি প্রদর্শিত হয়। যেগুলোতে মুক্তিযোদ্ধাগণ হানাদারদের থেকে লুকিয়ে যুদ্ধের বিভৎসতা ও হাসি কান্নার কথা লিখেছেন আত্মিয়, মা-বাবা ও প্রিয়জনদের কাছে। প্রদর্শনীর প্রথম দিনে উতসুক দর্শক ও মুক্তিযোদ্ধাপ্রেমিদের উপচেপড়া ভিড় লেগেছে। আগত দর্শকরা চিঠিগুলো পড়েছেন মনোযোগ দিয়ে সেই সাথে হয়েছেন আবেগাপ্লুত।

প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাসান। এতে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান প্রফেসর জসিম উদ্দীন খান। প্রদর্শনীর প্রধান পরিকল্পনা বাস্তবায়ক ছিলেন সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার মালেক মজুমদার। অন্যান্য পরিকল্পনা বাস্তবায়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফারহানা হোসেন (প্রভাষক), নাহিদ ফাতেমা (প্রভাষক) সিরাজ উদ্দীন (প্রভাষক)। সার্বিক দিক নির্দেশনা দেন সহযোগি অধ্যাপক তানিয়া শফি ও সহযোগি অধ্যাপক রেজাউল করীম। মুক্তিযোদ্ধা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সরকারী মহসিন কলেজ রসায়ন বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক প্রফেসর ইদ্রিস আলী (শিশু মুক্তিযোদ্ধা)।

এতে দর্শনার্থীরা ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ঐতিহাসিক এই কৃতিত্বের জন্য মূল্যায়ন খাতায় প্রশংসামূলক মুল্যায়ন ব্যক্ত করেন। এছাড়াও বিভিন্ন কলেজ-ভার্সিটির শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ,মুক্তিযোদ্ধা, চাকুরিজীবি ও সাধারণ মানুষ চিঠি প্রদর্শনে এসেছেন। প্রদর্শনীটির ব্যাপারে প্রফেসর আনোয়ার মালেক মজুমদার বলেন, “আমরাই বাংলাদেশে এই প্রথম যারা মুক্তিযোদ্ধাদের এই হাসি-কান্নার স্মৃতিবিজড়িত চিঠিগুলোকে মানুষের সামনে তোলে ধরছি। আমি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষে ইতিহাস তত্ত্ব বিষয়টি পড়াই। মূলত সে তাগিদ থেকে এই উদ্যোগ নিয়েছি। এবং এই ব্যাপারে আমাকে বিভাগীয় প্রধান জসিম উদ্দীন খান স্যার, রেজাউল করীম স্যারসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ সহযোগিতা করেছেন। বিশেষত জসিম স্যারের নির্দেশনায় ও শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এটি বাস্তবে রুপ নিয়েছে। এই প্রদর্শনীর লক্ষ উদ্দেশ্য হচ্ছে যারা পাক হানাদারদের কবল থেকে আমাদের মাতৃভূমি উদ্ধার করতে জীবন বাজি রেখেছিলেন তাদের হৃদয়ের কথাগুলোকে মানুষের সামনে তোলে ধরা ও মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস পাঠে সাধারণ্যে উদ্ভুদ্ধকরণ।

” এই প্রদর্শনী আগামি ১৬ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও চিঠিগুলো বিভাগের নিজস্ব মিউজিয়ামে রাখা হবে ইতিহাসপোকাদের জন্য।