গোয়াইন নদীর দু’ কুল ভাঙছে, হুমকির মুখে সরকারি অফিস ও বসতবাড়ি 

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ১৭ ২০২২, ১২:০৮

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি: গোয়াইন নদীর ভাঙনে উভয় পারের জনপদ সরকারি অফিস, বাজার, ফসলি জমি পড়েছে হুমকির মুখে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরী উদ্যোগ প্রয়োজন।

গোয়াইন নদীর পূর্ব-পশ্চিম উভয় পারে ভাঙন ঠেকাতে জরুরী উদ্যোগ না নিলে আসছে বর্ষা মৌসুমে রয়েছে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা।উপজেল সদর শিববাড়ি থেকে লেঙ্গুড়া পর্যন্ত নদীর পশ্চিম পার হচ্ছে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র। সরকারি অফিস হাট-বাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্র ডাক বাংলো নদী তীরবর্তী থাকায় প্রতি বছরই ভাঙনের ঝুঁকি বাড়ছে। টিএন্ডটি অফিস রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকিতে।

অপর পারে পূর্না নগর পুরাতন জামে মসজিদ, কবর স্থান অনেক অংশ নদী গর্ভে হয়েছে বিলীন। পুর্না নগর গ্রামের অর্ধ-শতাধিক পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন গত ৩০ বছরের মধ্যে। ঝুঁকিতে আরও অসংখ্য পরিবার।পুর্না নগর থেকে কৈয়াখাল হয়ে ডৌবাড়ী পর্যন্ত একটি মাটির রাস্তা হয়েছিল অনেক পূর্বে যা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রায় বিলীন হওয়ার পথে।

উক্ত রাস্তা নদী তীরবর্তী হওয়ায় ফসলি জমি ভাঙন রোধে সাপোর্ট ছিল। বর্তমানে নদী ভাঙনে হুমকির মুখে ফসলি জমি। পাহাড়ি ঢল বন্যা আর অতিবৃষ্টি গোয়াইনঘাটের জনপদ ফসলি জমিতে প্রতি বছরই রেখে যায় তান্ডবের চিহ্ন। নদী ভাঙন রোধে সদর থেকে লেঙ্গড়া পর্যন্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা পরিষদে রেজুলেশন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে প্রেরন করা হয়ছে বলে জানান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক আহমদ। তিনি বলেন, খাটিরাই রাস্তায় পরিষদের পক্ষ থেকে দুই লক্ষ টাকা সহ গ্রামবাসীর টাকায় কাজ হয়েছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, নদীর উভয় পার রক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হবে, সময় লাগেব। জনসাধারণের প্রত্যাশা গোয়াইন নদীর ভাঙন রোধে শুস্ক মৌসুমে ব্যবস্থা নিয়ে উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র হাট-বাজার সরকারি অফিস, ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আন্তরিক হবেন।