গোলাম মওলা রনিরা ফিরে আসুন ইসলামের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানায়

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ২৭ ২০১৮, ০৬:০৫

মুফতী হারুন ইযহার: ‘বর্তমান বাংলাদেশে রাজনীতির যে অবস্থা এখানে ক্ষমতাসীন দল থেকে একজন সাবেক সংসদ সদস্য যেভাবে হোক আলোচিত ও সমালোচিত, তার জন্য বাঙালি জাতীয়তাবাদ ত্যাগ করে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে আসা শুধু সাধারণ ঘটনা নয়। এর সঙ্গে শুধু নমিনেশন জড়িত নয়, আরও অনেক কিছু জড়িত।’ – গোলাম মওলা রনি।

‘খিয়ারুকুম ফিল জাহিলিয়্যাহ খিয়ারুকুম ফিল ইসলাম’ -হাদীসটি মতে আমল করলে ইসলামিষ্টদের ধর্মীয় জমিদারী বিনাশের আশঙ্কা আছে!

অনেক আগে চট্টলার দুই সিংহপুরুষকে জানি। তারা বড় একটি ইসলামি দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। সাংগঠনিক ক্যাডার সিস্টেম বাধ সেজেছিলো।
আরো একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী সামাজিক ইসলামি মুভমেন্টে ব্যানারে সমবেত হতে চেয়েছিলেন অনেক বড় মাপের ব্যক্তিবৃন্দ। মুক্তিযোদ্ধা,সাবেক আমলা, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, আইনজ্ঞ, প্রকৌশলীরা। কিন্তু বাধ সেজেছে ইউরোপীয় মধ্যযুগের খৃষ্টীয় কর্তৃত্ববাদের মত ঐতিহ্যবাদী মোল্লাতন্ত্র।
ট্রাডিশনাল ধর্মীয় জায়গিরদারি ইসলামি বিপ্লবের অন্যতম প্রতিবন্ধক।

গোলাম মওলা রনি ক্ষমতার খায়েশ থেকে মুক্ত নন। তবে সেটাই কিন্তু শেষ কথা নয়। তার ঐ কথাগুলো আরেকবার পড়ুন। তার রূপান্তরের ধারাবাহিকতা তার অনেকগুলো লেখনীতে বারবার স্পষ্ট হয়েছে।

গোলাম মওলা রনির সাথে আমার কোন দিন সাক্ষাৎ হয়নি। ফোনে একবার আলাপ হয়েছিল কয়েক মিনিট।
কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন। আমারা ঢোকার পরপরই তিনি বের হয়ে গেছেন।
ওলামাদের নাস্তিকবিরোধি সংগ্রাম, আব্দুল কাদের মোল্লার শাহাদতের মত নানা ঘটনা তার বিবেককে নাড়া দিয়েছিলো।

এরকম হেভিওয়েট (ঐ হাদীসের ভাষায় ‘খিয়ার’)গোলাম মওলা রনিরা আছেন যারা আসল ঠিকানায় ফিরে আসতে চান।
আমাদের উচিৎ ঐ ঠিকানা থেকে জমিদারী প্রথা খতম করে মুজাদ্দিদে আলফে সানীদের প্রাণ ফিরিয়ে আনা।
গতকাল এক আইনজীবী আমাকে কোর্ট হাজিরার সময় আলফে সানি নামটি বলতে পারেননি। তিনি বললেন আমরা একটা বিপ্লব কামনা করি এবং তার জন্য আলেমদের মধ্যে একজন খোমেনিকে আমরা খুঁজছি।

-মুফতী হারুন ইযহার, মুহাদ্দিস লালখান বাজার মাদরাসা চট্টগ্রাম।