গাইবান্ধা-৩ আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ফজলে রাব্বী মারা গেছেন

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ২০ ২০১৮, ০৮:২১

তিনি গাইবান্ধা-৩ আসনে জাতীয় পার্টির হয়ে ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন

গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ড. টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরী মারা গেছেন। তিনি বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল (৮৪) বছর। তিনি ফুসফুসে সংক্রমণ ও উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

ফজলে রাব্বী ৩ ছেলে ও ২ কন্যা সন্তান রেখে গেছেন রয়েছে। তিনি পলাশবাড়ী উপজেলার তালুকজামিরা গ্রামের মরহুম স্কুল শিক্ষক আহসান উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে।

সাদুল্যাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন জানান, ফজলে রাব্বী চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় ভোটের মাঠে আসতে পারছিলেন না তিনি।

বিএনপির এই নেতা জানান, আজ বৃহস্পতিবার তার (ফজলে রাব্বি) ভোটের মাঠে আসার কথা ছিল।

কিন্তু হঠাৎ ঢাকার নিজ বাসায় বুকে ব্যাথা অনুভব করেন তিনি। পরে দ্রুত তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা।

১৯৩৪ সালে ১ অক্টোবর পলাশবাড়ী উপজেলার তালুক জামিরা গ্রামে জন্ম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর। তিনি গাইবান্ধা-৩ আসনে জাতীয় পার্টির হয়ে ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে ফজলে রাব্বী জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হন তিনি।

১৯৮৪ সালে এইচ.এম এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন ফজলে রাব্বী। সাবেক রাষ্ট্রপাতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। ফজলে ভূমি মন্ত্রী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ও সংস্থাপন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বও পালন করেন। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে অধ্যাপক হিসেবে তিনি কর্মরত ছিলেন।