গরমে সুস্থ থাকতে নিরাপদ ফলমূল ও শাকসবজি খান

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

এপ্রিল ২২ ২০১৯, ১৬:০২

একুশে জার্নাল ডেস্ক; বর্তমান বিশ্বে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটায় এ রকম প্রধান পাঁচটি কারণের মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম। তাই ডায়াবেটিসের ভয়াবহতা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা একান্ত জরুরি। ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ পুরোপুরি বা সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায় না। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এটি নিয়ন্ত্রণে রেখে সুস্থ জীবনযাপন করা যায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এমন খাদ্য রাখতে হবে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

খেজুর : বাদামি বা খয়েরি রঙের সুন্দর একটি ফল খেজুর। খেজুরের মিষ্টি স্বাদের কারণে অনেকেই ভেবে থাকেন, ডায়াবেটিস রোগীদের এটা খাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু প্রচুর ফাইবারযুক্ত খেজুর আসলে ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ওষুধ হিসেবে কাজ করে খেজুর।

দুধ : ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’-এর ভালো উৎস দুধ। আর সেজন্য দুধ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য উপকারী খাবার। অনেকের দুধ খেলে পেটে বায়ু হয়, তাই আপনি চাইলে দুধের ফ্যাটি অংশটি ছাড়া টকদই ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাবারও খেতে পারেন। সকালের নাশতায়ও আপনি রাখতে পারেন দুধ অথবা দুগ্ধজাত কোনো খাবার।

তুলসী : ঔষধি গাছ তুলসীকে বলা হয় ডায়াবেটিস রোগের ইনসুলিন। গবেষণায় দেখা গেছে, তুলসীপাতা বিবিধভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। খালি পেটে তুলসীপাতার রস পান করলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যায়। চাইলে তুলসীর রস আপনি চায়ের সঙ্গে মিলিয়েও খেতে পারেন।

ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে বা এই রোগটিকে বিলম্বিত করতে নিচের চেষ্টাগুলো করতে পারেন।

* প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ মিনিট হাঁটা বা শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। হাঁটার ক্ষেত্রে টানা ৪০ মিনিট একটানা হাঁটলে উত্তম ফল পাওয়া যায়।
* এমন ব্যায়াম বা পরিশ্রম করতে হবে, যাতে শরীর থেকে ঘাম ঝরে।
* দেহের ওজন বাড়তে দেওয়া হবে না। যাদের ওজন ইতোমধ্যে বেড়েছে, তারা ওজন কমাতে ব্যবস্থা নিন।
* প্রতিদিন শাকসবজি রাখুন খাদ্য তালিকায়। আঁশযুক্ত খাবার বেশি খান।
* কার্বোহাইড্রেট-জাতীয় খাবার, যেমন-ভাত, আলু কম খান।
* বেশি গরু বা ছাগলের গোশত খাবেন না।
* আইসক্রিম, পনির, ফাস্টফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস ও কৃত্রিম জুস এড়িয়ে চলুন।
* ঘি বা মাখন কম খান বা বাদ দিন।
* দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
* ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমান।
* টেনশন কমাতে হবে।

খালেদা খাতুন;
প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা,
বারডেম জেনারেল হাসপাতাল