গণতন্ত্র নেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ ভূলুণ্ঠিত: ড.মোশাররফ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ০১ ২০২৩, ১৯:১৮

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ একটি ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। গণতন্ত্র নেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজ ভূলুণ্ঠিত। বিদেশে টাকা পাচারের কারণে অর্থনীতি ধ্বংসের শেষ প্রান্তে।

রবিবার (১ জানুয়ারি) বিকালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ।

মোশাররফ বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সরকারি সিন্ডিকেটের লোকজন পকেট ভর্তি করেছে। বিচার বিভাগকে দলীয়কণি করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সরকারের অবৈধ নির্দেশ মানার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশ জনগণ বার্তা দিয়েছে এ সরকার রাষ্ট্রকে মেরামত করতে পারবে না। তারা এ সরকারকে আর দেখতে চায় না। দশ দফা কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। ক্ষমতা ছাড়তে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সবকিছু রাজপথে ফয়সালা করা হবে। সরকারকে বিদায় করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই, আর অগ্রভাগে ছাত্রদলকে থাকতে হবে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করতে।

তিনি বলেন, ঢাকার সমাবেশ বানচাল করতে সরকার বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করেছে। সরকার যত নির্যাতন নিপীড়ন করুক আন্দোলনকে দমানো যাবে না। জনগণ রাস্তায় নেমেছে আর রক্ষা নাই। দশ দফা বাস্তবায়ন করাই বিএনপির প্রধান চ্যালেঞ্জ। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দশ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্ধকার কেটে যাবে আলোর পথে বাংলাদেশ।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গণতন্ত্রকে পদদলিত করেছে সরকার। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলখানা। ছাত্রদলকে উঠে দাঁড়াতে হবে। না দাঁড়াতে পারলে নেতাকর্মীদের জেলখানাই থাকতে হবে। ২৩ সাল হবে কলঙ্কমুক্ত সাল, বেগম জিয়াকে মুক্ত করা হবে, এ বছর মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।

সমাবেশ বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, রাজপথে সবকিছুর পয়সালা হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতায় হস্তান্তর করা না হলে ছাত্রদল ৯০ মত গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারের পতন ঘটাবে। হাসিনা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত রাজপথে থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি।

 

সাবেক ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে সরকার। এ অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হলে সরকারকে ক্ষমতায় থেকে বিদায় করতে হবে। সরকারের সময় পুড়িয়ে গেছে। ধানাই পানাই করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবেনা। সরকার চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়। ২৩ সালে গণতন্ত্র ও বেগম জিয়াকে মুক্ত করার বছর।

 

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মো. ইয়াহিয়ার পরিচালনায় ছাত্রসমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, নাজিম উদ্দিন আলম, আজিজুল বারী হেলাল, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুবদলের মামুন হাসান, মৎস্যজীবী দলের মো. আব্দুর রহিম, কৃষকদলের হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস ও হেলেন জেরিন খান, তাঁতী দলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির মো. তানজিল হাসান, তবিবুর রহমান সাগর, ঢাবি ছাত্রদলের আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।