খালেদা জিয়ার সাজা কেনো বাড়ানো হবে না- হাইকোর্ট রুল

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ২৮ ২০১৮, ১৯:১৫

একুশে জার্নাল ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা কেন বৃদ্ধি করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

রাষ্ট্রপক্ষ ও খালেদা জিয়াকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

এর আগে মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।

বুধবার শুনানিতে দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, সাজা যদি সবার সমান হতো, তাহলে আমাদের সাজা বৃদ্ধির আবেদনের প্রশ্ন আসত না। কিন্তু প্রধান আসামি হয়েও খালেদা জিয়া অন্য আসামি থেকে সাজা কম পেয়েছেন। বয়স, সামাজিক অবস্থান ইত্যাদি ক্ষেত্র বিবেচনা করে তার সাজা কমানো হয়েছে। কিন্তু আইনত শাস্তির ক্ষেত্রে এই ধরনের কারণগুলো বিবেচনায় আসতে পারে না।

তবে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন শুনানিতে বলেন, দুদকের বিদ্যমান আইনে সাজা বৃদ্ধির আবেদন করা যেতে পারে না। এটা একটা বিশেষ কেস, তা পরিচালিত হবে বিশেষ আইনে। সরকার পার্লামেন্টে আইন সংশোধন করার পর সাজা বৃদ্ধির বিষয়ে দুদক আবেদন করতে পারে।

খালেদা জিয়ার অপর এক আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, দুদকের সাজা বৃদ্ধির কারণ এটা হতে পারে না যে কার সাজা কত কম কত বেশি দিল। দুদক এই কারণ দেখিয়ে আপিল করতে পারে না। সাজা দেয়া হয়েছে অপরাধের ধরন, মামলার মেরিট অনুসারে। সাজার বৈষম্যের প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। দুদককে অবশ্যই পেছন থেকে কেউ প্রভাবিত করছে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা আরও বাড়াতে ২৫ মার্চ দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামানের আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয় আসামির সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ অর্থদণ্ডের টাকা প্রত্যেককে সমান অঙ্কে প্রদান করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। রায়ের পর থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।