কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের দু’গ্রুপের ফের সংঘর্ষে ওসিসহ আহত-২০

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ১০ ২০২১, ০০:৪০

এম.এস আরমান,নোয়াখালী।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারে ফের আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের এ সংঘর্ষে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি ও তিন পুলিশ সদস্য’সহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। এসময় সংঘর্ষকারীরা পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ককটেলের বিষ্ফোরণ, গাড়ী ও দোকানে ভাঙচুর চালায়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দফায় দফায় কোম্পানীগঞ্জ থানার উত্তর পাশে, রূপালী চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ খবর লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৮টা) বসুরহাট পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ককটেল বিষ্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ওসি মীর জাহেদুল হক রনিসহ চার পুলিশ আহত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৮-১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে বসুরহাট রূপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার লোকজনের হামলা ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় রূপালী চত্বরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে আ.লীগের একাংশ (মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপ)। সন্ধ্যা ৬টার দিকে থানার উত্তর পাশের সড়ক (মাকসুদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) দিয়ে সভায় হামলার চেষ্টা চালায় কাদের মির্জার সমর্থকরা। এসময় উভয় পক্ষের সমর্থকরা মুখোমুখি হলে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষকারীরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আহত হন ওসি মীর জাহিদুল হক রনিসহ ৪ পুলিশ। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি দোকানপাট ও অটোরিকশা ।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।