কুমিল্লায় হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় প্রাণ হারাল গৃহবধূ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুন ২৯ ২০১৮, ১৮:৩৯

কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় সুমি আক্তার নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত সুমি আক্তার উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের ধনিজকরা গ্রামের সামছু মিয়া মিস্ত্রীর মেয়ে ও ইউসুফ আলী মিস্ত্রীর স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লার একটি হসপিটালে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সুমি আক্তার(২৮) জ্বরের কারনে ধনিজকরা বাজারের কাকলী মেডিকেল হলের ডাক্তার বিশ্বজিৎ আচার্য্যের চিকিৎসা নিয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরও সুমির শারিরীক অবস্থার উন্নতি হয়নি। দুইদিন আগে আবারও ডাঃ বিশ্বজিৎ আচার্য্যকে দেখালে তিনি বেশি পাওয়ারের ইনজেকশন দেয়ার কারণে সুমির অবস্থার আরো অবনতি হয়। শেষতক বুধবার রাতে পরিবারের লোকজন সুমিকে কুমিল্লা টাওয়ার হসপিটালে নিয়ে ডাঃ মিজানুর রহমানের স্মরনাপন্ন হয়। তিনি আগের কাগজপত্র দেখে বলেন, প্রয়োগকৃত ইনজেকশন ও হাই এন্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগের কারণে সুমির শরীরে ঔষধের বিষক্রিয়া হয়। তারপর দিন বৃহস্পতিবার সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে ডাঃ বিশ্বজিৎ স্থানীয় মাতব্বরদের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে, স্থানীয় সূত্রের দাবী।
নিহত সুমির পিতা সামছু মিস্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ডাঃ মিজানুর রহমান বলেছেন, পূর্বের ইনজেকশন ও ঔষুধের রিয়েকশন হয়ে রোগী মারা গেছে।
এখন ডাঃ বিশ্বজিৎ আচার্য্যকে তার কাছে নিয়ে গেলে কথাটি অস্বীকারও করতে পারেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ডাক্তার বিশ্বজিৎ আচার্য্য বলেন, সুমি আক্তার কুমিল্লা টাওয়ারে যাওয়ার আগে আমার কাছে চিকিৎসা নিয়েছিল। কিন্তু অযথা আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে মুন্সীরহাট এলাকায় একটি পোল্ট্রি ফার্মে বসে, সুমির পরিবারকে ম্যানেজের চেষ্টার কথা তিনি প্রথমে স্বীকার করলেও পরে অস্বীকার করেন।
স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, কাকলী মেডিকেল হলের মালিক আবুল কালাম, ধনিজকরা বাজারের তাজু মিয়ার দোকানে ওয়ার্কশপের কাজ করত। পরবর্তীতে তার মামা ডাঃ এয়াকুবের দোকানে চাকরি করে। সেখান থেকে অসদুপায় অবলম্বন করে পালিয়ে যায়। কিছুদিন পর সে ওই বাজারে কাকলী মেডিকেল হল খুলে ডাঃ বিশ্বজিৎ আচার্য্যকে বসায়।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের মাতম বইছে।