কুমিল্লায় নৌকা ধানে সংঘর্ষঃ আহত ৯

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ১৬ ২০১৮, ০৬:৪৫

শাহীন বিন শফিক, কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার চান্দিনায় ধানের শীষ প্রতীকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ড. রেদোয়ান আহমেদ এবং নৌকা প্রতীকের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপি’র সমর্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বরকরই ইউনিয়নের ফতেহপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৯জন নেতা-কর্মী আহত হয়।

তারা হলেন- আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপি’র ঘনিষ্ট আত্মীয় উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন (৩৮), বরকরইট গ্রামের মনির হোসেন মাস্টারের ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম এলাহী (৩৫), ফতেহপুর গ্রামে আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে ইউসুফ (২৯), মনির হোসেন এর ছেলে সোহেল (২৫), নাটিঙ্গী গ্রামের সাহাব উদ্দিন এর ছেলে সোহেল (৪০), ইব্রাহীম খলিল এর ছেলে ফারুক (৩৮) এবং ধানের শীষ প্রতীকের ড. রেদোয়ান আহমেদ সমর্থিত তিন ভাই আহত হয়েছে। তারা হলেন- ফতেহপুর গ্রামের মন্দির মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন (২৬), জুয়েল হোসেন (২০), জাকির হোসেন (৩০)। আহত গিয়াস উদ্দিনকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় একটি মটরসাইকেল ভাংচুর এবং স্থানীয় বাজারের দোকান-পাট ভাংচুর করে তারা। এদিকে ঘটনার পর সন্ধ্যায় ড. রেদোয়ান আহমেদ এর বিচার চেয়ে চান্দিনা থানার সামনে বিক্ষোভ করে আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

ড. রেদোয়ান আহমেদ জানান, ‘আমার পূর্ব নির্ধারিত তারিখ ও স্থানে প্রশাসনের অনুমতিতে শনিবার বিকেলে কাদুটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভা ছিল। এর আগে ফতেহপুর বাজার এলাকায় আমার একটি উঠান বৈঠকও ছিল। আমি নবাবপুর বাজার থেকে ফতেহপুর রওয়ানা হলে গিয়াস উদ্দিন এর নেতৃত্বে ২০-২৫জন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মী আমার ফতেহপুর বাজার এলাকার উঠান বৈঠকে হামলা চালায়। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর তারা আমার উপর হামলার উদ্দেশ্যে ধর ধর বলে ধাওয়া করে এগিয়ে আসলে আমার লোকজন তাদের বাঁধা দেয়। এ সময় আমি দ্রুত স্থান ত্যাগ করে মহিচাইল বাজারে চলে আসি। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আমার তিন নেতা-কর্মী আহত হয়।