কারাবন্দী আলেমদের মুক্তি দিয়ে নাস্তিকদের পক্ষ পরিহার করুন; সরকারকে পীর সাহেব মধুপুর

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

এপ্রিল ১০ ২০২৩, ২৩:৫৩

মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দী আলেমদের মুক্তি দিয়ে নাস্তিকদের পক্ষ পরিহার করুন বলে মন্তব্য করেছেন মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামীদ।

সোমবার (১০ এপ্রিল) বাদ আসর শায়খুল হাদীস পরিষদের উদ্যোগে মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দী উলামায়ে কেরামের মুক্তি কামনায় রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামীদ বলেন, ঈদের আগে রমজানেই মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দী আলেমদের মুক্তি দিলে সরকার ও দেশের জন্য ভালো হবে। উলামায়ে কেরাম নির্দোষ। তাদের মুক্ত করে দিয়ে নাস্তিকদের পক্ষ পরিহার করুন। অন্যথায় এ দেশের তাওহিদি জনতা আপনাদের সমুচিত জবাব দিবে।

শায়খুল হাদীস পরিষদের সভাপতি মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মুমিন, মাওলানা এহসানুল হক-এর যৌথ পরিচালনায় এতে আলোচনা করেন মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামীদ, শায়খুল হাদীস পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষকতা মাওলানা মাহফুজুল হক,হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানি, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, শায়খুল হাদীস পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা তাফাজ্জুল হোসেন মিয়াজি, বিশিষ্ট লেখক মাওলানা রুহুল আমীন সাদী।

আরও আলোচনা করেন বিশিষ্ট আলোচক মাওলানা লুৎফুর রহমান ফরাজি, শায়খুল হাদীস পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা মুহসিনুল হাসান, মুফতি মুহাম্মাদুল্লাহ, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী।

কারাবন্দী আলেমদের বিষয়ে মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, আল্লাহর পছন্দনীয় প্রায় সকল বান্দাই জেল খেটেছেন। ভারতবর্ষের প্রায় সকল আকাবির জেল খেটেছেন। এটা স্বাভাবিক বিষয়, এটা আলোচনার বিষয় নয়। বরং আলোচনা করতে হবে আমাদের যে দায়িত্ব ছিল কারাবন্দীদের উপর, কারাবন্দীদের পরিবারের উপর, আমরা সে দায়িত্ব কতটুকু পালন করলাম? সে চেতনা জাগিয়ে তুলতে চায় শায়খুল হাদীস পরিষদ।

সরকারকে উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা নিজেদের ভালো বুঝুন, অনেক বড় সুযোগ পেয়েছেন, সে সুযোগ কাজে লাগান। নয়তো পরিণতি দেখার অপেক্ষায় থাকুন।

হেফাজতের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানি বলেন, আমরা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিস্তারিত তালিকা দিয়েছি। কার নামে কী মামলা, কোথায় আছেন, কেমন আছেন স্ববিস্তারে? প্রথমে নাম ছিল মাওলানা মামুনুল হকের। আমরা তাদের কারাগারের ন্যায্য অধিকার দাবি করেছি, কোনো করুণা নয়।

সরকারের প্রতি অভিযোগ করে তিনি বলেন, সবার মামলায় জামিন হয়, বড় বড় সন্ত্রাসীরাও জামিন পায়, শুধু মামুনুল হকের সময় ভিন্ন নীতি।

সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, মনে করবেন না, হেফাজত আন্দোলন করতে জানে না। আন্দোলন করার অভিজ্ঞতা হেফাজতের রয়েছে। আমাদের মহাসচিব ঘোষণা করেছেন, আমাদেরকে রাজপথে আন্দোলনে বাধ্য করবেন না৷ আপনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। নয়তো দেখা হবে ঈদের পর ইনশাআল্লাহ!

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ বলেন, দু’আ মুমিনের সর্বোচ্চ হাতিয়ার। আজ দু’আ থেকেও আমরা বিচ্ছিন্ন। আমাদের দু’আর আমল বাড়াতে হবে। আজ মামুনুল হক জেলে থাকায় তাঁর যতটুকু ক্ষতি হচ্ছে তার থেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। তাই আমাদেরকে মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হকসহ সকল কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির জন্য সর্বাত্মক সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে।

ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, বিশিষ্ট আলোচক মাওলানা ইমরানুল বারি সিরাজি, মাওলানা আব্দুল কাদের সিরাজি, অর্থ সম্পাদক মাওলানা শামছুল আলম, অফিস ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শরীফ হুসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আল আবিদ শাকির, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ মাসনুন, যুগ্ম-অর্থ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন , বিভাগীয় সম্পাদক মাওলানা হুমায়ূন কবীর, মাওলানা মাহফুজ হায়দার কাসেমি, যুগ্ম অফিস সম্পাদক মাওলানা মুবাশ্বির আহমাদ, মাওলানা সৈয়দ শামছুল হুদা, মাওলানা মাসরুরুল হক, মাওলানা মুর্শিদুল আলম সিদ্দিকী, মাওলানা জাহিদুজ্জামান প্রমুখ।