ইকরামুল মারজান চৌধুরী: মাসব্যাপী রুদ্ধশ্বাস প্রস্তুতি ও অনুশীলনের পর কাতারের জাতীয় দিবসে বাংলাদেশ কমিউনিটির সফলতা।

কাতারের অবরোধের দ্বিতীয় বছরে ব্যাপক আয়োজন ও বর্ণিল সাজের মাধ্যমে জাতীয় দিবস উদযাপিত হয় মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র ধনী দেশ কাতারে।

এই উপলক্ষে আয়োজিত থিম প্যারেডে অংশ নিয়ে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ কমিউনিটি।
বিভিন্ন দেশের কমিউনিটির সাথে প্রতিযোগিতামূলক থিম প্যারেডে বাংলাদেশের ৭টি জেলার প্রবাসী অংশগ্রহণ করে।তারা হলেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,কুমিল্লা,ঢাকা,চট্টগ্রাম,সিলেট ও খুলনার।

গত বছরের ন্যায় এবছরও থিম প্যারেডে অন্যান্য দেশের প্রবাসীদের পিছনে ফেলে লাল- সবুজের প্রতিনিধিরা তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে থিম প্যারেডে কৃতিত্বপূর্ণ সফলতা অর্জন করে।

বাংলাদেশীতের এ সফলতায় প্রায় সাড়ে চার লাখ বাংলাদেশী প্রবাসীর মধ্যে যেন আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়।

দিবসটি উপলক্ষে কাতার’র সংসদ ভবনের পাশে পর্যটন খ্যাত সমুদ্র তীরবর্তী বিনোদন কেন্দ্র দোহা কর্নিশে বর্ণাঢ্য প্যারেডের আয়োজন করে দেশটির সেনাবাহিনী।এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি,তার পিতা ও রাজ পরিবারের সদস্যরা।

কাতারিদের পাশাপাশি এই আয়োজনে বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরাও আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে।এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সানাইয়া গ্রাউন্ডে টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।দেশের স্টেডিয়াম, মুক্তাঙ্গন, পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে আতশবাজি, কার রেস, থিম প্যারেড ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশের সফলতা অর্জন স্বরুপ কাতারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হাত থেকে ক্রেস্ট ও সনদ গ্রহণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতৃবৃন্দরা।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আতশবাজীর বিজলীর ফোয়াড়া কর্নিশ পাড়ের বীচে সমুদ্রের পানি ও মধ্যাকাশ এক অপরুপ সৌন্দর্য্যের রুপ ধারণ করে। জাতীয় দিবস উপভোগ করতে আসা বিভিন্ন দেশের আনন্দে মেতে ওঠে হাজারো প্রবাসী।