কলকাতায় বাংলার বিজয় উৎসব

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ১৮ ২০১৮, ১২:২৬

১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় উৎসব পালন করছে কলকাতাবাসী। তিন দিনব্যাপী এ বিজয় উৎসব রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে। একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভারতে প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয় এই উপ-হাইকমিশনে।

কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের সভাপতিত্বে বিজয়ের উৎসব শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নগরোন্নয়ন, অগ্নিনির্বাপক ও জরুরি পরিষেবামন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অতিথি ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী, ত্রিপুরার মহারানী বীভু কুমারী দেবী, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ধর্মের ওপর ভিত্তি করে দেশ গঠন যে বেশি দিন টেকে না, বাংলাদেশের স্বাধীনতা তারই প্রমাণ। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক ও সাংস্কৃতিক বলয়ের একটি দেশ। দেশটির সাম্প্রতিক উন্নতিতে পশ্চিমবঙ্গবাসীও সন্তুষ্ট। আশা করি, বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’

হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম উন্নয়নশীল একটি দেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব কৃতিত্বের জন্য কলকাতার জনগণও গর্ব করতে পারেন। কারণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের জন্য এখানকার মানুষের অবদান রয়েছে।’

Kolkata

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু তার বক্তব্যে বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর অপসংস্কৃতি দেশকে গ্রাস করেছিল। আবার বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতেই আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’

উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান বলেন, ‘কলকাতায় বিজয় উৎসব আয়োজনের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক দিকগুলো উপস্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরার পাশাপাশি বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সুসম্পর্ক আরও মজবুত করা।’

বিজয় উৎসবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ২৫০টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়। সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী সুরসৈনিক বুলবুল মহলানবীশ। গান গেয়ে শোনান মৌসুমী ভৌমিক। আবৃত্তি করেন আহকাম উল্লা ও গোলাম সারোয়ার।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়নভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন উপ-হাইকমিশন পরিবারের সদস্য এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।