কনফিডেন্স কোচিং সেন্টারের ৫ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে শিক্ষা সফর সম্পন্ন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ১৬ ২০২২, ১৬:৪২

কনফিডেন্সে কোচিং সেন্টারের বর্তমান ও সাবেক ছাত্র ছাত্রীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত ১৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) এক শিক্ষা সফরের আয়োজন করে।

২০১৮ সালের ১ জানুয়ারী থেকে আজ অবদি ৫ম বর্ষে পদার্পণকারি প্রতিষ্ঠানটি সততা,মননশীলতা ও দক্ষতার সহিত ভালো রেজাল্টের আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারবাহিতা শিক্ষা সফরের মাধ্যমে হতাশাগ্রস্ত ছাত্র ছাত্রীদের মেধার বিকাশ ঘটাতেই মূলত এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। পিকনিক স্পট হিসেবে পছন্দ যা ছিলো মাধবপকুন্ড জলপ্রপাত, মাধবপুর লেক, বধ্যভূমি, শিক্ষা সফরের মধ্যে উপস্থিত ছিলো কনফিডেন্স কোচিং সেন্টারের ৩৭ জন ছাত্র ছাত্রী ও কনফিডেন্স কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মােজাক্কির আহমেদ নাজু, সহকারী সিনিয়র শিক্ষক মিহাদ হাসান,বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা অন্না রুহি দাস,জুনিয়র সহকারী শিক্ষক লিমন চন্দ্র। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন গলমুকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র শিক্ষানুরাগী খালেদ আলহদ শিশ, মাহবুব আহমেদ রুমন।

বৈচিত্র্যের সন্ধানী মানুষ কখনাে স্থির হয়ে বসে থাকতে পারে না। নতুন আকর্ষণে মানুষ প্রতিনিয়ত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে। দেশ সফর মানুষের জ্ঞান সঞ্চয়ের ও অবকাশ যাপনের একটি উৎকৃষ্ট পন্থা। এতে অভিজ্ঞতা বাড়ে এবং হৃদয়ের প্রসার ঘটে। এই উদ্দেশ্যগুলােকে সামনে রেখে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষাসফরের আয়ােজন করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা বই-পুস্তক পাঠ করে দেশ-বিদেশের ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান ও বস্তুসমূহের সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতে পারে। কিন্তু নিজের চোখে দেখলে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা লাভ হয় অনেক বেশি।

বই পড়ে কোনাে একটি স্থান ও বিষয় সম্বন্ধে জ্ঞানার্জন সম্পূর্ণ হয় না বলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর ছাত্রদের শিক্ষাসফরের ব্যবস্থা করেন। এর অন্যতম উদ্দেশ্য একাডেমিক প্রয়ােজন মেটানাে। কিন্তু শিক্ষা সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এইজন্য যে, এটি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সহমর্মিতা ও ভাবের আদান-প্রদান ঘটায়। ছাত্ররা জাতির মেরুদণ্ড, ছাত্রদের সুশিক্ষা দানের মধ্যে রয়েছে দেশ গড়ার কার্যকারিতা। আর হাতে-কলমে শিক্ষা গ্রহণই সুশিক্ষার অন্যতম পন্থা যা শিক্ষা। সফরের মাধ্যমে সম্ভব। শিক্ষা শুধু বইয়ের কয়েকটা পাতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শিক্ষার আলো সর্বত্রই বিচরণ করে। আর শিক্ষা সফর সেই আলোকে ছড়িয়ে দেয় উন্মুক্ত আকাশে। শিক্ষা সফরের মূল আনন্দ হলো প্রকৃতির আবার সৌন্দর্য্যকে প্রাণ খুলে অবলোকন করা। কিছুটা সময় প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলা এবং প্রকৃতির মাঝেই নিজেকে আবিষ্কার করা এ এক অদ্ভুত অনুভূতি। ভ্রমণের আনন্দ একে অন্যের সাথে ভাগাভাগি করার মাধ্যমে সেই অনুভূতি হয়ে উঠে আনন্দের মহাসমুদ্র।

শুধু যে আনন্দই শিক্ষা সফরের উদ্দেশ্য তা কিন্তু নয়। শিক্ষা সফরের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। শিক্ষা সফরের মাধ্যমে শিক্ষার্থী অনেক স্থান এবং ওই স্থানের জীবন যাপনের ধরণ এবং বিভিন্ন ধরণের সংস্কৃতির সম্পর্কে জানতে পারে। তাদের কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পায়। শরীর এবং মননের বিকাশ ঘটে। পড়াশুনার একঘেমেয়ি দূর হয়। মন প্রফুল্ল থাকে যা পরবর্তীতে শিক্ষার্থীকে পূনরায় পড়াশুনায় উজ্জীবিত করে। সুতরাং শিক্ষা সফরের গুরুত্ব অত্যধিক ও অপরিসীম।