কওমী মাদরাসার ঐতিহ্য-অবদান কখনো ভূলুণ্ঠিত হতে দিবো না: মাওলানা মামুনুল হক

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ০৭ ২০১৮, ১৯:১৯

হাবীব আনওয়ারঃ কওমী মাদরাসা হলো স্বাধীনতা রক্ষার অতন্দ্র প্রহরি।কওমী মাদরাসা সম্পর্কে জানতে হলে দেখতে হবে বিটিশ তাড়ানোর ইতিহাস। সাম্রাজ্যবাদকে তাড়ানোর ইতিহাস।কওমী মাদরাসার সাথে লক্ষ লক্ষ ওলামায়ে কেরামের রক্ত মিশে আছে।তাই, যারা এই কওমী মাদরাসা নিয়ে ষড়যন্ত্র করবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে।

আজ ৭ ই ডিসেম্বর হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উত্তর চট্টলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি ও সেবামলূক সংগঠন আল আমিন সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ও আল্লামা আহমাদ শফি সেবা সংস্থার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত তিনদিন ব্যাপি তাফসিরুল কুরআন ও কেরাত মাহফিলের সমাপনি দিনে বিশেষ আলোচকের আলোচনায় শাইখুল হাদীস আল্লামা মামুনুল হক এসব বলেন।

তিনি আরো বলেন, কওমী মাদরাসা হলো দেশপ্রেমিক আদর্শ নাগরিক গড়ার পাঠশালা। একমাত্র কওমী মাদরাসায় সহিহ কুরআন সুন্নাহর পাঠদান দেওয়া হয়। সিরাতে মুস্তাকিমের পথে চলতে হলে, কুরআন সুন্নাহর দেখানো পথে চলতে হবে। কোন ব্যক্তি কিংবা আমিরের দেখানো পথে চললে কখনো সিরাতে মুস্তাকিমের পথে আসা সম্ভব নয়! তাই যদি কেউ এই কুরআনের পথকে বন্ধ করে দিতে চাইবে ওলামায়ে দেওবন্দ বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও তা প্রতিহত করবে।

দাওয়াতে তাবলীগের সাথিদের উদ্দেশ্য করে শাইখুল হাদীস বলেন, দাওয়াত দিতে হবে আল্লাহর দিকে।আর এটাই ছিলো নবীদের দাওয়াত।কোন ব্যক্তির দিকে বা কোন দল ভারি করার জন্য দাওয়াত দেওয়া নবীওয়ালা কাজ নয়। এটা হচ্ছে ব্যক্তিপুজা।
বর্তমানে এই ফেতনাকে(ব্যক্তি পুজা) প্রতিষ্ঠার জন্য মাওলানা সাদ উঠে পরে লেগেছে। কিন্তু তাদের ভুলে গেলে চলবে না, দেওবন্দের একজন সন্তানও বেঁচে থাকতে এই ফেতনা প্রতিষ্ঠিত হতে দিবে না। যে আলেমদের রক্ষার জন্য তাসলিমা নাসরিনের মত নাস্তিকরা ভারত থেকে বার্তা পাঠায় তাদের এদেশে স্থান হবে না।

আল্লামা মামুনুল হক আরো বলেন, কওমীর ছাত্ররা দাওয়াতে তাবলীগের কাজে একশবার যাবে। কারণ, নবীওয়ালা কাজ নবীর ওয়ারিশরা করবে।যদি কোন অভিভাবক ভয় পান তাহলে বুঝতে হবে আপনার সন্তানকে আল্লাহর জন্য কুরবান করতে পারেননি।

তিনি বলেন, যারা কওমী সন্তানদের হেফাজতি বলে গালি দেয়, তারা ইনুদের সহযোগী। তারা ইনুদের সহচর।

যারা ইজতেমা বানচাল করার ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ইজতেমা নির্ধারিত সময় হবে।যদি সরকার বা প্রশাসন কারো উস্কানিতে ইজতেমা না করতে দেওয়া হয় তাহলে ইজতেমা মাঠ অভিমুখে মার্চ করা হবে।