ওয়াজ মাহফিলে মাইক বন্ধ করা যাবে না; সাংসদ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ০৭ ২০২১, ২২:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক: ধর্ম মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিঠির এক বৈঠকে বাংলাদেশে কোনো ওয়াজ মাহফিলে মাইক বন্ধ করা যাবে না এসব কথা বলেন বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ) এর চেয়ারম্যান, সাংসদ আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (এম.পি)।

গত ৬ জানুয়ারী বিকেল ২. ৩০ মিনিটে সংসদ ভবনে ধর্ম মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিঠির এ বৈঠক অনুষ্টিত হয়।

সংসদীয় স্থায়ী কমিঠির সভায় সারা বাংলাদেশে ওয়াজ মাহফিল তথা ধর্মীয় অনুষ্টানে মাইক বন্ধ রাখার জন্য সিদ্ধান্ত আকারে প্রস্তাব গৃহীত হয়। আর সেই সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি পাশ করার জন্য আনিলে তাৎক্ষণিক সভায় উপস্থিত তরীকত ফেডারেশন এর চেয়ারম্যান সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী উক্ত প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এ দেশ সূফী সাধকের দেশ, পীর আউলিয়ার দেশ, এদেশে সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ মুসলমান। এদেশে সারা রাত ধরে বিয়ের অনুষ্টানের নাম দিয়ে, বনভোজন, প্যাকেজ অনুষ্টান এর নাম দিয়ে ডিজে বাজানো হবে আর ওয়াজ মাহফিলের জন্য মাইক বন্ধ রাখতে হবে তা আমি কখনো মানতে পারিনা। শুধু তাইনা এদেশের কোটি কোটি মুসলমান সুন্নী হোক, তরীকত পন্থী হোক আর কওমী হোক তা কখনো কেউ মেনে নিবে না। সকল শ্রেণির আলেম, পীর মাশায়েখ ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য রাখবেন। কিন্তু কেউ যদি সরকার বিরোধী বা রাজনৈতিক বক্তব্য দেয় তা সরকার তথা প্রশাসন দেখবে।

তিনি আরো বলেন, যেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে তা অবশ্যই প্রশাসন মেনে চলবে। সেখানে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা।

সভায় সাংসদ আরো বলেন, ওয়াজ মাহফিলে মাইক বন্ধ করা মানেই তো মাহফিল বন্ধ করার সামিল। সুতরাং এদেশে ওয়াজ মাহফিল তথা ধর্মীয় কোন অনুষ্টানে কৌশলে বাধা প্রদান ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে কোটি কোটি মুসলমানের অন্তরে রক্তক্ষরণ ‍সৃষ্টি হবে। তাই আমি একজন মুসলমান হিসেবে তা কখনো মেনে নিতে পারিনা।

সভায় তিনি কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, আজকে যদি এই সিদ্ধান্ত প্রস্তাব প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে আমি আজকের সভা বর্জন করব এবং আগামীতে এ ব্যাপারে আলেম ওলামাদের নিয়ে আমি বৃহত্তর পরিসরে নতুন করে চিন্তা করব কি করা যায়। সভায় সাংসদ এর তীব্র প্রতিবাদ ও প্রচন্ড বাধার মুখে ওয়াজ মাহফিলে মাইক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি খারিজ হয়ে যায়।

উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো. ফরিদুল হক খান দুলাল এম.পি, আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এম.পি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব মো. নূরুল ইসলাম (পি.এইচ.ডি), ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ধর্ম মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ, সংসদীয় কমিঠির সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।

এদিকে যুগোপযোগী এবং সাহসী বক্তব্য দেওয়ার জন্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (এম.পি)-কে বাংলাদেশ দারুল আরকাম শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন, মুফতি জয়নুল আবেদীন, মাওলানা মো. ইউনুস খান, হাফেজ মাওলানা মো. সাখাওয়াত হোসেন, মাওলানা মো. মুনাওয়ার হুসাইন, মাওলানা মাহফুজুল ইসলাম মাসুম, মাওলানা মো. রাশেদুল ইসলাম, মাওলানা শাহেদ, মুফতি ইকরাম শরীফ প্রমুখ, ।