ওসমানীনগরে অতিরিক্ত ফি নিয়েই এসএসসির ফরমপূরণ : দেওয়া হচ্ছে না টাকা আদায়ের রশিদ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ১৭ ২০১৮, ১৪:৩৯

ওসমানীনগর প্রতিনিধি : ওসমানীনগরের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি শিক্ষা বিভাগ। শিক্ষা বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধানদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি ব্যবস্থা। অতিরিক্ত ফি আদায়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। চলতি বছর (২০১৯ সালে) এসএসসি পরিক্ষার ফরম পূরণে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ফি আদায় না করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করে শিক্ষা বিভাগ। কিন্তু শিক্ষা বিভাগের হুশিয়ারীকে তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত ফি আদায় করে ওসমানীনগরের অধিকাংশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, এসএসসি ফরম পূরণ বাবদ ওসমানীনগরের বুরুঙ্গা ইকবাল আহমদ স্কুল এন্ড কলেজ (কোচিং সহ) ৩হাজার ৭শত টাকা, শরৎ সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয় (কোচিং ছাড়া) ২হাজার ১শত টাকা, কে এ জনতা উচ্চ বিদ্যালয় (কোচিং সহ) ৩হাজার ৫শত টাকা, দয়ামীর সদরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় (কোচিং সহ) ৪হাজার ১শত ৮০ টাকা, রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয় (কোচিং সহ) ৩হাজার টাকা, খাদিমপুর নছিব উল্লা উচ্চ বিদ্যালয় (কোচিং ছাড়া) ১হাজার ৯শত টাকা, সাদীপুর উচ্চ বিদ্যালয় ৩হাজার ৭০টাকা (কোচিং সহ) টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়া উপজেলার অন্যান্য মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও অনুরূপ হারে ফিস নিচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেকোন লেনদেনের ক্ষেত্রে রশিদ প্রদানের বিধান থাকলেও এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কোনো রশিদ প্রদান করছে না উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
বুরুঙ্গা ইকবাল আহমদ স্কুল এন্ড কলেজের এক ছাত্রের অভিভাবক সাবেক ইউপি সদস্য লাহিন হোসেন জানান, আমি বিভিন্ন মাধ্যমের জানতে পারি ২০১৯ সালের এসএসসি পরিক্ষার ফরম পূরণে মানবিক বিভাগে সর্বমোট প্রায় ১৫০০টাকা। আমার ছেলের কাছ থেকে মানবিক বিভাগে ফরম পূরণের জন্য ২হাজার ৫শত টাকা ও ১৯ সালের জানুয়ারী-ফেব্রয়ারী মাসের কোচিং বাবদ আরো ১২০০টাকা নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে যোগাযোগ করে কোন লাভ হয়নি। আমার ছেলের কাছ থেকে যে টাকা আদায় করা হয়েছে সেক্ষেত্রে কোনো রশিদ দেওয়া হয়নি। রশিদের জন্য বলা হলে তা পরবর্তীতে দেওয়া হবে বলে জানান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওসমানীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি নেওয়ার জন্য। যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি আদায় করে থাকে তদন্তক্রমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।