“ঈদের বিধান আছে, ঈদে মীলাদুন্নবীর বিধান কি ?

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ২০ ২০১৮, ০৬:১৫

“ঈদের বিধান আছে, ঈদে মীলাদুন্নবীর বিধান কি ?

১} ঈদের নামায দুই রাকাত ওয়াজিব।
২} অতিরিক্ত চার তাকবির ওয়াজিব।
৩} দুই খুৎবা পড়া সুন্নত।
৪} খুৎবা শুনা ওয়াজিব।
৫} এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া
৬} অন্য রাস্তায় ফিরা সুন্নত।
৭} ঈদুল ফিতরে কিছু খেয়ে বাহির হওয়া সুন্নত।
৮} ঈদুল আযহায় খালিপেটে ঈদগাহে যাওয়া এবং ফিরে এসে নিজ কুরবানীর গোশত থেকে খাওয়া মুস্তাহাব।
৯} ঈদুল ফিতরের নামাজের আগে ফিতরা প্রদান।
ভোর কালে জাগ্রত হওয়া।
১০} ঈদুল আযহার নামাজের পর কুরবানী করা।

ঈদে মীলাদুন্নবীর বিধান কি ?

নামায কত রাকাত ?
তাকবির কতটা ?
খুৎবা কয়টি?

সায়্যিদুল আইয়াদের বিধান কি ?
সবচেয়ে বড় ঈদে বিধান আরো গুরুত্বপূর্ণ হবার কথা!

যদি কোন বিধান না থাকে, ঈদ মানে আনন্দ বলে নবীজির জন্মদিনের আনন্দকে ঈদ বলার সুযোগ থাকে ,
তাহলে প্রত্যেকের সন্তান জন্মের আনন্দ, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার আনন্দ, ব্যবসায় লাভবান হবার আনন্দ, চাকুরি পাওয়ার আনন্দ, নির্বাচনে জয়ী হবার আনন্দকে যদি কেউ ঈদ ঘোষণা করে তার অপরাধ হবে কেন ?

মৌলিকভাবে আরবী عيد শব্দে ফিরে আসার অর্থ প্রাধান্য পায়। عيد এর সরাসরি অর্থ আনন্দ নয়, বরং আরব্য সমাজে বছর ঘুরে নির্দিষ্ট দিনে ফুর্তি করার রীতি চালু ছিল।
তাই সামষ্টিক অর্থ আনন্দ নেওয়া হয়েছে। আরবী অভিধান গুলো দেখে আপনিও শিউর হবেন শুধু আনন্দকে ঈদ বলে না।
তাই নবীজির ঘোষণায় ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা নির্ধারিত হয়। ঘোষণায় শুধু আনন্দ প্রকাশকে ঈদ বলা হয়নি। বিশেষ বিধান সম্বলিত আনন্দকে ঈদ বলা হয়েছে।
এরকম কোন ঘোষনা ইসলামের যে বিধানের সাথে যুক্ত হবে আমরা ঈদ বলতে রাজি। যেমন জুমআয় দিনকে ঈদ বলা হয়েছে।
নবীজির জন্মদিনকে ঈদ বলা কোন ঘোষনা ইসলামের
কোন উৎসে থাকলে আপনি উপস্থাপন করতে পারেন।

নবীজির জন্মদিনের স্মরণে আমরা আনন্দিত হই।
কিন্তু এই দিনটাকে ঈদ বলার অধিকার নবীজি নিজে সংরক্ষণ করেছেন। ঐ হাদীসে, যে হাদীসে তিনি ঈদুল ফিতর, আযহা ও জুমআকে ঈদ বলেছেন।

নবীজির জন্মদিন ঈদ হলে তিনি ঐ তিনটির মত এটাও বলতেন যে “আমার জন্মদিনও ঈদ”।

যেখানে ঈদ প্রসঙ্গটি আসার পরও তিনি নিজের জন্মদিনকে ঈদ বলেননি। আমরা নবীজির থেকে এডভান্স হয়ে ঈদ বলবো কোন অধিকারে ?

সুতরাং ইসলামের বিধান মুক্ত নিছক আনন্দ। এটা তার নিজের ফুর্তি। ইসলামের বিধিবদ্ধ ঈদ নয়। আল্লাহ্ সকলকে বুঝার তৌফীক দিন।