ঈদের নামাজের নিয়ম

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

আগস্ট ২১ ২০১৮, ০২:৫১

ঈদের নামাজ ওয়াজিব। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুরায়ে কাওসারে বলেন ” আপনার প্রভূর জন্য নামাজ পড়ুন আর কোরবানী করুন।” উক্ত আয়াতে নামাজ দ্বারা উদ্দেশ্য ঈদের নামাজ।

(মাআরিফুস সুনান ৪র্থ খন্ড ৪২৬ পৃষ্টা, তাফসিরে রুহুল মাআনী ৩০তম খন্ড ২৮৪পৃষ্টা, সুরায়ে কাওসারের তাফসির।)

ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহা কোনো নামাজেই আজান-ইকামত নেই।
এই দুই নামাজে জামাত অপরিহার্য,কিন্তু আজান-ইকামত বিধিবদ্ধ নয়।
(সহীহ বুখারী, হা্দীস ৯৬০, সহীহ মুসলিম হাদীস ৮৮৬)
৩। উভয় ঈদের নামাজ ঈদগাহে বা খোলা ময়দানে আদায় করা সুন্নত। (বিনা ওজরে ঈদের নামাজ মসজিদে আদায় করা অনুচিত। ওজর হলে পাড়া যাবে। )
(সহীহ বুখারী ,হাদীস ৯৫৬;সহীহ মুসলিম, হাদীস ৯৮৯)

উভয় ঈদের নামাজ দুই রাকাত করে। এর আগে-পরে কোনো সুন্নাত বা নফল নামাজ নেই।
(সহীহ বুখারী, হাদীস ৯৮৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৮১)

ঈদের নামাজ আদায় করার নিয়মঃ
প্রথমে নিয়ত করবে মনে মনে হলেই হবে। এরপর “আল্লাহু আকবার” বলে কানের লতি পর্যন্ত হাত উঠাবে। তারপর নাভীর নিচে হাত বেধে সানা পড়বে। সানা পড়া শেষ হলে তিনবার “আল্লহু আকবার” তাকবীর বলবে, এবং প্রত্যেক তাকবীর বলার সময়ই হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠাবে। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবীরের মাধ্যখানে দুই-একবার ‘সুবহানাল্লাহ” পড়া যায় এতোটুকু বিলম্ব করবে, প্রথম দুই তাকবীর বলার পর কানের লতি পর্যন্ত হাত উঠিয়ে হাত ছেড়ে দেবে। তৃতীয় তাকবীর বলার পর হাত বাঁধবে।
এবার যথানিয়মে “আউযুবিল্লাহ” বিসমিল্লাহ” পড়ে ইমাম সাহেব সুরায়ে ফাতেহা পড়ে অন্য একটি সুরা মিলাবেন। আর মুক্তাদিরা বরাবরই চুপ থাকবে। তারপর যথানিয়মে তাকবীর বলে রুকুতে যাবেন, রুকু সেজদা সমাপ্ত করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবেন।
দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেব সুরা ফাতেহা ও অন্য একটী সুরা পড়বেন,মুক্তাদিরা চুপ থাকবে। ইমামের কেরাত শেষ হলে রুকুতে যাওয়ার আগে, আগের নিয়মে তিনটি বাড়প্তি তাকবীর দেবে। এবং হাত ছাড়া অবস্থায় চতুর্থ তাকবীর দিয়ে রুকুতে যাবে। নামাজের অন্যান্য তাকবীরের মতোই ইমাম ও মুক্তাদি দুই রাকাতে এই বাড়তি ছয় তাকবীর বলবে। ইমাম উচ্চস্বরে আর মুক্তাদি নিম্ন স্বরে। এরপর যথানিয়মে নামাজ শেষ করবে।
(তাহাবী শরীফ ২য় খন্ড ৩৭১পৃষ্টা,মুসনাদে আহমদ চতুর্থ খন্ড ৪১৬পৃষ্টা, আবু দাউদ ১ম খন্ড ১৬৩পৃষ্টা,সুনানে আবু দাউদ ১১৫০ নং হাদীস,মুসান্নফে ইবনে আবি শায়বা খন্ড২ পৃষ্টা ৭৮ ইত্যাদি))

ঈদের নামাজে উচ্চস্বরে কিরাত পড়তে হয়। রাসুলুল্লাহ সাঃ ঈদের নামাজে কখনো সুরায়ে আ’লা ও গাশিয়াহ আবার কখনো সুরা কাফ ও কামার পড়তেন।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭৮৭,৮৯১; )

ঈদের নামজের পরে , দাঁড়িয়ে, আরবী ভাষায় , দুটি খুতবা দেয়া সুন্নাত। দুই খুতবার মাঝে বসা ও সুন্নাত । ঈদের নামজের আগে খুতবা নয় বরং নামাজের পরে। খুতবার মাঝে মাঝে “তাকবীর” শুধু ইমাম সাহেব বলবেন মুসল্লিরা বলবে না।
(সহীহ বুখারী, হাদীস ৯৬২,৯৬৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস ৮৮৪; সুনানে ইবনে মাজাহ , হাদীস ১২৮৯; মুসনাদুশ শাফী(কিতাবুল উম্ম) ৫ম খন্ড, পৃষ্টা ৪৭৩)