ইসলামী সংস্কৃতির কিংবদন্তি আইনুদ্দীন আল আজাদের ১১ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুন ১৮ ২০২১, ০৫:২২

একুশে জার্নাল: আজ ১৮ জুন (শুক্রবার) ইসলামি সংস্কৃতির কিংবদন্তী ও বিপ্লবী মহাপুরুষ আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর ১১ তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১০ সালের এই দিনে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শাহাদাত বরণ করেন ইসলামী সংস্কৃতির এ কিংবদন্তী মহাপুরুষ।

২০১০ সালের ১৮ জুন শুক্রবার একটি মাহফিল সেরে পরবর্তী দিনের খুলনায় ইসলামি সংগীতানুষ্টানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় প্রতিমধ্যে নাটোরের লালপুরে বিপরিতপগামী ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়ে মুছড়ে পড়ে তার গাড়ি। ঘটনাস্থলে ড্রাইভার মৃত্যু বরণ করেন। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ইন্তেকাল করেন।

১৯৭৭ সালের ০১ মার্চ ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ থানার হাজরা তলা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। পিতা জনাব মুহাম্মদ শমসের আলী ও মাতা নবীরুন নেসা। ৮ ভাই, ৪ বোনের মধ্যে তিনি হলেন পঞ্চম। বৈবাহিক জীবনে তিনি দুই সন্তানের পিতা। বড় মেয়ে তুহফা আজাদ রুহি ও ছেলে আসাদুল্লাহ গালিব। ইন্তেকালের সময় যাদের বয়স ছিল যথাক্রমে ৮ ও ৫ বছর।

তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন গ্রামের এক বিদ্যালয়ে। পরে ইসলামি শিক্ষার প্রতি প্রবল আগ্রহে ১৯৯১ সালে ঝিনাইদহ উত্তর কাষ্টসাগর দাখিল মাদরাসায় ভর্তি হয়ে একি বছর দাখিল। ১৯৯৩ সালে ছারছিনা দারুস সুন্নাহ আলিয়া মাদরাসা থেকে আলিম।

১৯৯৫ সালে ঝিনাইদহ সরকারী কে সি কলেজ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে বাংলা সাহিত্যে অনার্স। ১৯৯৬ সালে মাগুরা সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদরাসা থেকে ফাজিল পাস করেন। পরে সরকারী মাদরাসা-ই আলিয়া, ঢাকা থেকে কামিল সম্পন্ন করেন।

আরো পড়ুন: শাহাদাতের স্বপ্ন ছিলো যার বুকে

রাজনৈতিক জীবনে তিনি ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। সর্বশেষ ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

তার গেয়ে যাওয়া সংগীত এ্যালবাম গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- দুর্নিবার, অবগাহন, কবর পথের যাত্রী, এলো রমজান, খুজিগো তোমায়, শিক্ষিত শয়্তান, কি হবে, মানুষ, জনতার আর্তনাদ, বীর মুজাহীদ উসামা, যদি, বঝে শুনে, বুশের কবর, রক্ত ভেজা পথ, ভোট, তেল, তাইতো, দামামা, বদলে যাবে দিন, যায় যদি যাক প্রাণ, নাংঙা তলোয়ার, বন্ধু ইত্যাদি।

শাহাদাত বার্ষিকীর এই দিনে এই মহান ব্যক্তিকে জানাই হৃদয়ের গভীর থেকে লাখো সালাম। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন, আমীন।