ইশকে ইলাহীর জুস্তুজু

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মার্চ ৩০ ২০১৯, ১৭:৫৯

মনোয়ার শামসী সাখাওয়াত

উঠতি উমরে
কার না দিল
ধড়কায় টলকায় তড়পায়?

বয়স যখন উনিশ-কুড়ি
তখন কার না হৃদয়
হিপ হপে হাঁপায়?
যেন কত্থক আর কথাকলিতে
কি সব আবোল তাবোল কথা কয়!

তারুণ্যে যৌবনে
ভালোবাসার বাসন্তী বর্ণে
কার না হৃদয় উতলায় উছলায়?

জারিন জীবনের
এইসব উন্মনা দিনে
কার না মন
রৌদ্রকরোজ্জ্বল জ্যাজ মিউজিকের মতন
তেজি রঙের বিজলী বাণে মিছমার হয়?

কোন সে নবকুমার
যে এই নাজুক সময়ে
নারীর কামশরে
বিদ্ধ হয়ে না কাতরায়?

কোন সে জোয়ান
যে এই উদ্ভিন্ন যৌবনে
জোহরা-জাবির
জোশ আর জজবায়
জুনুন না হয়?
আত্মপ্রেম আর আত্মহননের মধ্যে
পেন্ডুলামের মত দোল না খায়?

কোন সে নওজোয়ান
যে নওবাহারে
নার্গিস আর নাগমায়
নিবিষ্ট আর নিবেদিত না হয়?

কিন্তু কোন এক সময়ে
এই যৌবন জোয়ারেও
তো ভাটার টান লাগে, নিশ্চয়।

জওয়ানির জোশ
আর মাহজাবির লাগি
মাস্তি আর মাদহোশ
একদিন তো মিলিয়ে যায়
সব উবে যায়, হারিয়ে যায়।

থাকে না সেই অন্ধকারে
মুখোমুখি বসিবার তরে
কোন লাইলী, মোনালিসা
অথবা বনলতা, হায়!

তখন যদি তুমি
ইশকে লায়লাকে
ইশকে ইলাহীর জুস্তুজুতে
না পার বদলাতে,
তাহলে তুমি তোমার
হাহাকারময় হাসরাতকে
রহমতের রুহানিয়াতে
পারবে না ফেরাতে।

পারবে না
ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াবি সফরকে
চিরস্থায়ী আখিরাতী জীবনে
পরিণত করতে।

তাহলে তুমি শুধু
পুঁজি আর পণ্যের পূজারী হবে।
আর এক জড়বাদী জীবনের
নিথর পাথর
হয়েই কেবল টিকে থাকবে।