ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি বাদ দিলে যুক্তরাষ্ট্রকে পস্তাতে হবে:প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ০৬ ২০১৮, ১৪:৪৬

ইরান তাদের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ‍যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে উপনীত হয়।

ওই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ দেখা হয়নি বলে অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই সেটিকে ‘অন্যায্য’ বলে বর্ণনা করে আসছেন।

তিনি ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। আগামী ১২ মে’র মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কথা রয়েছে ট্রাম্পের। ওই দিন ইরান পরমাণু চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে পর্যালোচনার জন্য বেঁধে দেওয়া ১২০ দিন শেষ হবে।

ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি চায় যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তিতে থাকুক। তাদের মতে, ইরানের পরমাণু অস্ত্র বানানো ঠেকাতে এটিই সবচেয়ে ভালো উপায়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রোববার এক ভাষণে রুহানি বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি থেকে সরে যায় তবে একদিন তাদেরকে এর জন্য পস্তাতে হবে।

তিনি বলেন,“ট্রাম্প যে সিদ্ধান্তই নিন, ইরানের হাতে সব বিকল্পই আছে। আমরা তার পাল্টা জবাব দেবই।”

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের রোববার ওয়াশিংটন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

জাতিসংঘও ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে না নিতে ট্রাম্পকে সতর্ক করেছে।

ওদিকে, গত সপ্তাহে ইসরায়েল একটি ‘সিক্রেট নিউক্লিয়ার ফাইল’ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, ইরান গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৫ বছর ধরে এ কাজ চলছে।

যদিও ইরানের দাবি, অস্ত্র তৈরি করতে নয় বরং তাদের পরমাণু প্রকল্পের লক্ষ্য সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে মিথ্যাবাদী বলেছে ইরান।