আমাদের ভুবনে আসুন, আমরা প্রস্তুত

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ০৪ ২০১৯, ২০:১০

সাইমুম সাদী

ছাত্র শিবিরের দুজন সাবেক নেতা কয়েকদিন আগে গিয়েছিলেন বারিধারা মাদ্রাসায়।

তাদেরকে নিয়ে বসানো হল আলীশান মেহমানখানায়। নাস্তা পরিবেশন করা হল খুব অল্প সময়ে চমৎকার ভাবে। অত্যন্ত আন্তরিক আচরণ করা হল তাদের সাথে। খুব প্রীত হয়ে ফিরে এলেন দুজন।

আমার সাথে আলাপচারিতায় এমনই জানিয়েছিলেন ওই দুজন। তারা বললেন, কওমি মাদ্রাসা সম্পর্কে আমাদের ধারণা অনেক চেঞ্জ হয়েছে সেদিনের পর থেকে। একেকজন ছাত্রের চেহারায় নুরের আভা লেগে আছে যেন। অনেকক্ষণ থাকতে মন চাইছিল। আরও আরও অনেক… কিন্তু সময় কম ছিল। তাই চলে এলাম।

ঘটনাটা বললাম সাম্প্রতিক সময়ে শিবিরের সভাপতির দাওরা পরীক্ষা নিয়ে সৃষ্ট ফেসবুক বিতর্ক নিয়ে কথা বলার জন্য। অনেকেই ইনবক্সে জানাচ্ছেন কিছু বলার জন্য।

এখানে দুটো বিষয়, এক হচ্ছে হাইয়াতুল উলিয়ার পরীক্ষা পদ্ধতি আর অপরটা শিবিরের সভাপতির দাওরা পরীক্ষা।

দাওরার আগের জামাত গুলোয় না পড়ে কিংবা ক্লাস না করে দাওরা পরীক্ষা দেওয়া যায় এটা হাইয়াতুল উলিয়ার পদ্ধতিগত দুর্বলতা, অন্যকারো দোষ নয়। এই বোর্ডের বয়স খুব অল্প। অনেক অপুর্ণাংগতা রয়েছে। আশাকরি খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান তারা করতে পারবেন।

শিবিরের সভাপতির দাওরা পরীক্ষা দেয়াটাকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখতে চাই। আমার মতে শিবিরের কার্যকরী পরিষদের সকল সদস্যকেই কওমি মাদ্রাসায় পড়ার ও পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো উচিত।

যেভাবে তাবলীগ জামাত সবাইকে বলে, ভাই আগে সময় লাগান তারপর প্রশ্ন করবেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে ওখানে সময় লাগানোর পর কোন প্রশ্নই থাকেনা। অটোমেটিকভাবে সবকিছু উপলব্ধিতে চলে আসে। ঠিক সেভাবেই চাইছি।

ছাত্র শিবিরে যেসব আধুনিক শিক্ষিত তরুণরা আছেন তাদের জন্য উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে একটা আন্তরিক আহবান থাকা উচিত। দাওয়াতে সাড়া দেয়া না দেয়া তাদের ব্যাপার। তবে যোগাযোগ থাকলে কওমি মাদ্রাসা নিয়ে, ইসলামী বিপ্লবের জন্য পদ্ধতিগত ব্যাপার নিয়ে অনেক ভুল বুঝাবুঝির ব্যাপারটা কেটে যাবে।

মাওলানা জালাল উদ্দীন রুমী রহ. শামসে তাবরিজীর সাথে দেখা হওয়ার আগে ছিলেন এক রকম আর দেখা হওয়ার পরে হয়ে গেলেন অন্যরকম। কারণ একটাই সোহবতে ছালেহ।

আমাদের আভ্যন্তরীণ পরিবেশ এমন হওয়া উচিত, দুনিয়ার সবাইকে যেন বলতে পারি, আমাদের ভুবনে আসুন, আমরা প্রস্তুত।

ছাত্র শিবির, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন এমনকি তালামিয, সুন্নি ছাত্র পরিষদ সহ সবাইকে দাওয়াত দিয়েই তো আমাদের মাহাওলে নিয়ে আসা দরকার। কেন বিরোধিতা করছি ক্লিয়ার না।