আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অনলাইন টিভি ক্লাব ইউকের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ফেব্রুয়ারি ২২ ২০২১, ২১:৫৬

“ভাষা আন্দোলনই ছিল বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের মূল প্রেরণা”

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে অনলাইন টিভি ক্লাব ইউকে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, ভাষা আন্দোলনই হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের মূল প্রেরণা। ভাষা সৈনিকদের আন্দোলনের সাফল্য থেকে বাঙালি পেয়েছে মুক্তি সংগ্রামের সাহস ও উজ্জীবনী শক্তি।

আমাদের মাতৃভাষা ও জাতিসত্তার ইতিহাস তুলে ধরে বক্তারা আরো বলেন, যেকোনো জাতির স্বকীয়তা প্রমাণ করে, সে জাতির মধ্যে প্রচলিত সর্বজনীন ভাষা। ‘ভাষার জন্য আত্মত্যাগ’ বাঙালিকে বিশ্বের মানুষের কাছে মর্যাদাপূর্ণ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমাদের ভাষা দিবস হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’।

একুশে ফেব্রুয়ারি দুপুরে অনলাইন টিভি ক্লাব ইউকের এই অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও প্রাচীনতম সাপ্তাহিক জনমতের দীর্ঘকালীন সম্পাদ নবাব উদ্দিন। আরটিএন  বাংলা টিভির সিইও নুরুল আমিন তারেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য  রাখেন হাওয়া টিভির সেক্রেটারি মাহমুদুর রহমান শাহনুর। মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন এলবি টিভির  হেড অব নিউজ আলাউর খান (শাহীন)।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন ইউকে বাংলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি  প্রবীণ সাংবাদিক  কেএক আবুতাহের চৌধুরী, সময় সম্পাদক কবি ও কথা সাহিত্যিক সাঈদ চৌধুরী, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আ স ম মাসুম, ওয়ান বাংলা টিভির সিইও জাকির হোসেন কয়েছ, মুক্তবাংলা টিভির চেয়ারম্যান সারওয়ার হোসাইন, পিবি টিভির ডিরেক্টর দেলোয়ার হুসেন শিবলী, এমএস টিভির চেয়ারম্যান মুসলিম খান, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের কমিউনিটি সেক্রেটারি রেজাউল করিম মৃধা, এমএএইচ টিভির নাসির উদ্দিন, ওয়ান বাংলা টিভির আব্দুল বাসিত রফি,প্রমুখ।

এমএএইচ টিভির সিইও আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ টিপুর সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সবশেষে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন কেএম আবুতাহের চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনের সেই উত্তাল দিনগুলোর বর্ণনা দিয়ে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্রভাষা ঊর্দু করার ঘোষণা দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রতিবাদ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বাংলার সামাজিক, রাজনৈতিক ও সচেতন জনগণও তা প্রত্যাখান করে ছাত্রদের প্রতি সমর্থন জানান। রুখে দেয়ার ঘোষণা হয় বাংলা ভাষা নস্যাতের সকল ষড়যন্ত্র। ভাষা আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়তে বৃটেন সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশীরাও ঝাপিয়ে পড়েন।

বক্তারা একটি কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আমরা গেয়েছি শিকল ভাঙার গান।/ক্ষুব্ধ মানুষ ক্ষীপ্ত যখন একসাথে/ অ আ ক খ ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়েছে/সর্বজনীন মুখের ভাষা প্রাণের গান।/ নিঃশব্দ হৃদয়ে তখন অগ্নিস্ফুলিঙ্গ/ বায়ান্নর ফাগুনে ঝরেছে আগুন/ ভাষা সৈনিক অমর ও অম্লান।/ মায়ের ভাষাকে হৃদয়ে ভালোবেসে/ মুক্তমঞ্চে গেয়েছো মাতৃভাষার গান/ বাংলার ভাষা শহীদ চির মহীয়ান!/ আকাশ বাতাস আর দশ-দিগন্তে/ দিবারাত্রি হয় মানবতার জয়গান/ বাংলা ভাষা বিশ্বজুড়ে ভাষার প্রাণ।