অভুক্ত কুকুর-বিড়ালের পাশে তেঁতুলিয়া ইয়াংস্টার কমিউনিটি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

এপ্রিল ২৫ ২০২০, ১৪:৩৩

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি;

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাস জুড়ে চলছে লকডাউন। বন্ধ হোটেল-রেস্তোরা ও দোকানপাট। ঘরবন্ধী হয়ে পড়েছে মানুষ। এতে করে সংকটে মানুষের পাশাপাশি খাদ্য সংকটে পড়েছে কুকুর-বিড়ালের মতো প্রাণীকুল। এসব খাদ্য সংকটে থাকা অভুক্ত প্রাণীদের পাশে দাঁড়িয়ে ২১ দিন ধরে খাদ্য সরবরাহ করে চলেছে তেঁতুলিয়া ইয়াংস্টার কমিটি নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

‘ফুড ফর হাঙ্গরী অ্যানিমেলস’ এই স্লোগান নিয়ে ৫ এপ্রিল হতে তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে অভুক্ত কুকুর-বিড়ালদের খাবার পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু করে এ সংগঠনটি। প্রতিদিন তারা ৫০-৬০টি অভুক্ত কুকুর-বিড়ালকে খাবার দিয়ে আসছেন তারা। এ যাত্রার শুভ উদ্বোধন ও প্রণোদনা দিয়ে সহযোগিতা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু।

সংগঠনটির উদ্যোক্তা এস. কে দোয়েল ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব জানান, হাটবাজারের হোটেল-রেস্তোরা বা খাবারের দোকানের উচ্ছিষ্ট খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে কুকুর বিড়ালের মতো প্রাণীরা। করোনা পরিস্থিতিতে খাদ্য সংকটে পড়া অভুক্ত থাকা অবলা এসব প্রাণীকে খুঁজে খুঁজে তাদের মুখে খাবার তুলে দিতে উদ্যোগ নেয় ইয়াং স্টার কমিউনিটি। খাবার হিসেবে দিচ্ছেন রান্না ও বিভিন্ন শুকনো খাবার।

এস কে দোয়েল বলেন, “একটি ক্ষুধার্ত বিড়ালকে কান্না করতে দেখে তাকে সেদিন খাওয়ানোর পর মনে হয়েছে, খাদ্য সংকটে পড়া অবলা এ প্রাণিগুলোকে খাদ্য পৌছানো প্রয়োজন। সে চিন্তা থেকে কাজ শুরু। এ উদ্যোক্তার কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি জেলার উদ্যোগী তরুণরা অভুক্ত প্রাণীদের খাবার বিতরণ করেছেন বলে জানান।

এ কাজে সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন তেঁতুলিয়া ইয়াংস্টার কমিউিনিটির অন্যতম উদ্যোক্তা আহসান হাবীব ও জুলহাস উদ্দীন। এ ছাড়াও এ সংগঠনটি অভুক্ত প্রাণীদের পাশাপাশি মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের খাবার ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে অগোচরে পৌছে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী। এ মানবিক কাজে যারা উৎসাহিত করছেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান এ উদ্যোক্তা।

সংগঠনটির এই উদ্যোগকে উৎসাহিত ও সাধুবাদ জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু ও নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদুল হক।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু বলেন, ‘করোনাভাইরাস ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। জনসমাগম বন্ধ করতে সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী উপজেলার বাজারগুলোতে শুধু ওষুধ, মুদি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় বিষয় ছাড়া হোটেল-রেস্তোরাসহ সবধরণের দোকানপাট বন্ধে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি উপজেলার সর্বস্তরের মানুষদের করোনা থেকে সুরক্ষিত রাখতে এবং ঘরমুখি মানুষদের সবধরণের সুবিধা দিতে। পাশাপাশি কোন প্রাণিও যাতে অভুক্ত না থাকে সেদিক চিন্তা করে ইয়াংস্টার কমিউনিটিকে উৎসাহিত করছি।