অবশেষে নৌকার বিদ্রোহী হেভিওয়েট প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ২২ ২০১৮, ০৭:১০

নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।

গতকাল (২১ ডিসেম্বর) শুক্রবার রাতে উপজেলা আওয়ামীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় মহাজোট প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন আপেল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরীর সঞ্চালনায় উক্ত প্রধান অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম. এ সালাম, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মাইনুদ্দীন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, ফখরুল আনোয়ার, মুহাম্মদ শাহজাহান, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, সৈয়দ মুহাম্মদ বাকের, সাদাত আনোয়ার সাদী, চেয়ারম্যান রুস্তম আলীসহ উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।

এসময় নৌকার পক্ষে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করা হয়।

প্রধান অতিথি আমিনুল ইসলাম আমিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, নৌকা হচ্ছে স্বাধীনতার প্রতীক, উন্নয়নের প্রতীক। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

এদিকে, বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে বিকাল ৩টা থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এসময় কিছু নেতাকর্মীকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেলেও অধিকাংশ নেতাকর্মীর চেহারা ছিল মলিন। বিকাল পাঁচটার দিকে কেন্দ্রীয় নেতা আমিন উপস্থিত হলে তাকে বরণ করে নেন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। এরপর কিছুক্ষণ পর উপস্থিত হন বিদ্রোহী প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। তিনি গাড়ি থেকে নেমে উপস্থিত নেতাকর্মীদের কোলাকুলি করে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এসময় নিশ্চুপ পেয়ারুর দু’চোখে পানি পরতে দেখা যায়। একই সময় নেতাকর্মীরাও আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে, বর্ধিত সভা থেকে সর্বশেষ কি আসছে তা যানতে বাইরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন শতশত নেতাকর্মী। এটিএম পেয়ারুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত উপস্থিত বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতি- কষ্ট করবে একজন- ফল ভোগ করবে আরেকজন।