দুবাই প্রবাসীদের টুকরো কথা
একুশে জার্নাল
এপ্রিল ২০ ২০১৮, ১৬:৫৬
সাব্বির বিন আকবার দুবাই: বাংলাদেশের অন্যতম শ্রম বাজার, বিশ্বের অন্যতম পর্যটনভূমি আরব আমিরাত (দুবাই) এ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা বন্ধ থাকায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আমিরাতের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত বাংলাদেশি শ্রমজীবী ও ব্যবসায়ীগণ।
তাদের দাবী দীর্ঘ ৬ বৎসরেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশীদের নতুন কিংবা ট্রান্সফার ভিসা বন্ধ থাকায় প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ঝামেলা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। দুবাইয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের শ্রম বাজার বন্ধ থাকার সুযোগে পার্শ্ববর্তী দেশ,ভারত,নেপাল, শ্রীলংকা, সহ আফ্রিকা মহাদেশগুলো বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নিজেদের লাখ লাখ মানুষের কর্মস্থান তৈরি করে তাদের রেমিটেন্স বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। অথচ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের চেয়ে বাংলাদেশীদের চাহিদা অনেক।
কিন্তু ভিসা জটিলতায় কিছুই করতে পারছে না বাংলাদেশী শ্রমিকরা।
বাংলাদেশের নাগরিকের চাহিদা কেমন জানতে চাইলে, প্রতিষ্টিত কন্ট্রাকশন ব্যবসায়ী সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীগণ বলেন। পৃথিবীর অন্যান্য নাগরিকদের তুলনায় বাংলাদেশীরা সততা ও দক্ষতাসম্পন্ন। কঠোর পরিশ্রমে অভ্যস্ত হওয়ায়, তাদের দ্বারা স্বল্প মজুরীতে যেকোনো কাজ করাতে সহজলভ্য হয়। যা কিনা অন্যান্য দেশের নাগরিকদের দ্বারা করাতে চাইলে তার দিগুণ অর্থ গুনতে হয়।
দুবাইতে বসবাসরত এক ইন্ডিয়ান নাগরিক বলেন।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বর্তমানে বাংলাদেশীদের জন্য পর্যটন ভিসা চালু হয়েছে। যার ফলে গনহারে বাংলাদেশের নাগরিকেরা পর্যটন ভিসা নিয়ে প্রতিদিন ই’ প্রবেশ করছে । তবে আশংকার কথা হচ্ছে তারা অধিকাংশই পর্যটন ভিসা নিয়ে আসলেও নির্ধারিত সময়ের পর আর ফিরে যেতে অনিহা প্রকাশ করছেন বলেও তিনি দাবী করেছেন। । ফলে আমিরাতে দেশের ভাবমূর্তি আবারো ক্ষুণ্ণ হবে বলে ও তিনি দাবী করেন এই ভারতীয় নাগরিক।
সদ্য পর্যটন ভিসায় দুবাইতে আসা এক বাংলাদেশি পর্যটকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘দুবাইর ওয়ার্কপার্মিট ভিসা নিয়ে আসবো বলে দীর্ঘদিন অফেক্ষায় ছিলাম। ওয়ার্ক পার্মিট ভিসা পাইনি বলেই এ পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছি’। তিনি বাংলাদেশের লক্ষ শ্রমিকের নির্ভরযোগ্য কর্মস্থান, আমিরাতের ওয়ার্ক পার্মীট ভিসা চালু করতে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অনেকদিন ধরেই দুবাইয়ে কর্মরত বাংলাদেশীরা ভিসা জটিলতায় খুবই অসহায় অবস্থায় দিন পার করছেন। অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা পুনরায় ভিসা রিনিউ করতে পারছেন না। যারফলে শ্রমিকদের একটি বড় অংশ বৈধভাবে কাজ করতে পারছেন না। অনেকেই লুকিয়ে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। যার ফলে অনেকেই তাদের পাওনা বেতন গ্রাস করে খাচ্ছে একস্রেনীর সুযোগসন্ধানী চক্র। কিন্তু ভিসা জটিলতার ফলে কারো কাছে অভিযোগও করতে পারছেন না বাংলাদেশী অসহায় শ্রমিকরা। অনেকেই এসব যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে স্বর্বহারা হয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন।
সবার একই দাবি, একই আশা নিয়ে বসে আছেন দ্রুত বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয় এ বিষয়টির দ্রুত একটি সমাধান করবে।
-সাব্বির বিন আকবার
দুবাই থেকে।