প্রয়োজনে বেফাক পুনর্গঠনের প্রস্তাব চরমোনাই পীরের

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ২৬ ২০২০, ২১:০১

চইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসাসমূহের সর্ববৃহৎ ঐতিহ্যবাহী বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ‘র দায়িত্বশীল ও কর্মকর্তাদের নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে অনাকাঙ্তি বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একে অপরের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করে এবং একের পর এক গোপনীয় ফোনালাপ প্রচার করে পরিবেশকে এতটাই নোংরা করে তোলা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষের কাছে সম্মানিত ওলামায়ে কেরামের ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, ওলামায়ে কেরামের প্রতি সাধারণ জনগণের যে একটি আস্থা ও ভক্তি-শ্রদ্ধার জায়গা ছিল, তা পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। যা সামগ্রিকভাবে দেশের সকল ইসলামপন্থিদের জন্য অশুভ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।

তিনি বলেন, আমাদের আলাদা শিক্ষা বোর্ড থাকলেও বেফাকের সঙ্গে আমরা সবসময়ই আন্তরিকভাবে জড়িত ছিলাম। বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড বেফাকের অন্তর্ভুক্ত একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। সে সূত্রে পদাধিকারবলে পীর সাহেব চরমোনাই বেফাকের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি এবং কুরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী বেফাকের কেন্দ্রীয় সহকারি মহাসচিব।

শুধু বেফাকের দায়িত্বের কারণে নয় বরং এদেশের সহিহ ধারার ইলমে দ্বীনের নিয়ন্ত্রণকারী মারকাজ হিসাবে বেফাকের প্রতি আমাদের নৈতিক ও আদর্শিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। এজন্যই বেফাকে কোনো সঙ্কট তৈরি হলে আমরা বিচলিত না হয়ে পারি না। বর্তমান অনাকাঙ্খিত সঙ্কটও আমরা বেশ কিছুদিন ধরে দূর থেকে পর্যবেক্ষণ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ভেবেছিলাম দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ দ্রুততার সঙ্গে সঙ্কট নিরসনে উদ্যোগী হবেন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, পরিস্থিতি দিন দিন আরও জটিল ও ঘোলাটে হচ্ছে। বেফাক সংশ্লিষ্ট অনাকাঙ্খিত বিতর্কে সারা দেশের ওলামা এবং তুলাবারা জড়িয়ে পড়েছে।

আমাদের কাছেও ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে নানামুখী অনুরোধ আসছে, বেফাকের সঙ্কট নিরসনে গঠনমূলক কোনো উদ্যোগ নেয়ার জন্য। যেসব মুরুব্বিগণ বেফাক পরিচালনা করছেন, তাদের উচিত পরিস্থিতির বাস্তবতা ও নাজুকতা উপলব্ধি করে সংকট নিরসনে দ্রুত উদ্যোগী হয়ে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুবিবেচনার দিকে তাকিয়ে আছি।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, তারা যদি দ্রুত শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সমর্থ না হন তাহলে এই ঐতিহ্যবাহী মারকাজের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং একে একটি সত্যিকারের প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে আমরা দ্রুত দেশের সচেতন ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে পরামর্শ করে বেফাক পুনর্গঠনের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তুলে ধরব ইন শা আল্লাহ।