বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা নির্যাতিত হওয়ার প্রধান দু’টি কারণ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ০৫ ২০১৯, ২৩:২৮

জাহেদ আহমদ: বর্তমানবিশ্বে সমস্ত ধর্মবিশ্বাসীদের মধ্যে মুসলিমরাই বেশী নির্যাতিত। ইসলাম এবং মুসলিমরাই বারবার রেসিজম ও নির্যাতনের টার্গেট হয়ে আসছে। এসবের প্রধান যে দু’টি কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে আলোচনা করা প্রয়োজন ।
একঃ
মুমিন বান্দার ঈমান আমল যখন পূর্ণতায় পৌঁছে যায়,আল্লাহ তাঁকে পরীক্ষা করেন।
জান,মাল,আওলাদ দিয়ে হয় পরীক্ষা।
বিপদ মসিবত না আসলে সাহাবিরা পেরেশান হয়ে যেতেন যে,আমার ঈমান আমলের কোন ঘার্তি হচ্ছে না কি!কোন বিপদ আসছে না কেনো?

দুইঃ
আল্লাহর ঘোষনা,
‘জল এবং স্থলে যত বিপর্যয় হয় সব মানুষের হাতের কামাই’।
বর্তমানে পুরো বিশ্বে মুসলিমরা বিপর্যয়ে।জুলুম নির্যাতেনের শিকার।কিছু স্থান এবং ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই মজলুম হওয়ার কারন ঈমান ও আমলের পূর্ণতা,যা তাঁদের জন্য পরীক্ষা।

কিন্ত আল্লাহ যে বললেন হাতের কামাই,এটা আলোচনা হওয়া দরকার।
সিরিয়ার কথা সবাই জানেন,তারা জুলুমের শিকার।সিরিয়ান অনেক ভালো মানুষ আছে নিঃসন্দেহে।কিন্ত যারা ফ্রান্স এবং জার্মানিতে থাকেন তারা জানেন সিরিয়ানদের ইতরামি কত জ্বালার।সিরিয়ানদের স্মরণার্থী হয়ে যারা এসেছিল এসব দেশে, তাদের অনেকেই ভালো হয়ে চলছে,কিন্ত ওদের অধিকাংশ রাস্তাঘাটে চাকু মারা ছিনতাই চোরি সহ নানা অপকর্মে জড়িত,ওদের দেখলে দুইশ গজ দূরে মানুষ চলে।

আফগানি এবং পাকিস্তানি,এক মিনিটে যারা দুই চারটা খুন করতে পারে!ডাকাতি ছিনতাই নারী কেলেঙ্কারি বাটপারী, কত বলবো?
২ নম্বর থেকে ১৪ নম্বর পৃথিবীর এমন কোন অপরাধ নাই যেটি আফগানী পাকিস্তানিরা পারেনা বা করেনা।

আরাকানিদের কথা না বলাটা নিরাপধ।বললে অনেকে বলবে নাস্তিকদের সাথে শুর মিলাচ্ছি।
তবুও একটু বলা দরকার।
অপরাধপ্রবন এই জাতি ইয়াবা টিয়াবা সহ বহু কাজের কাজী।রাষ্ট্রীয় সাম্প্রদায়িকতার রোষানলে ফেলে শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে রাখা, সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখাই অপরাধী হওয়ার পিছনে দায়ী।

উইঘুর কাশ্মীর ফিলিস্তিন সহ সব মজলুমের মুক্তি ও কল্যান কামনা করি।

বাংলাদেশের কথা বলি,
বাংলাদেশি প্রবাসীরা বিদেশে এমনভাবে চলে যেন একটা পিপড়াও না মরে।অর্থাৎ কোন অপরাধ করেনা,কারন দেশের দুর্নাম হবে।
কিন্ত দেশটার বিপর্যয় হয়েছে বহু আগে!
রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সামাজিক যেটাই বলেন,কোন এমন অপরাধ আছে যেটা দেশে হচ্ছেনা!আইনের শাসন নাই বলে দিন দিন অপরাধের মাত্রা বেগতিক।
অন্যদের কথা বাদ দিই,আলেমদের কথা বলি,লজ্জা লাগে তবুও বলতে হয়,ফেইসবুক দলাদলি আর কামড়াকামড়ি নিউজে ছয়লাব,একদম উলঙ্গ করে দিয়েছে!
কারা করছে এসব?
এক দল অন্য দলকে,এক মুরীদ অন্য মুরীদকে।
কোন ক্ষতি নাই করতে থাকেন।

জামাতের অন্যদের কথা বলছিনা,শুধু মাত্র সাঈদীর কথা বলি,সাঈদীকে গ্রেপ্তারের কারনে যারা হাত তালি দিয়েছিলেন হাতকড়া এখন আপনাদের দিকে।আলেম সাঈদীর মুক্তি কামনা করি।সাঈদীকে কারাবন্দী করে পার পেয়ে গেছে রাষ্ট্র।আব্দুল্লাহ মায়মুন আতিকুল্লাহকে গুম কর নাটক সাজানো হচ্ছে! ফেনীর কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।শতাধিক মেধাবী আলেমদের গ্রেপ্তার করার মিশন চলছে বলে একটা খবর বাতাসে প্রচার হচ্ছে!

যেদেশে হেযভূত তাওহীদের মত জঙ্গীরা সরকারের আমলা কামলাদের সাথে কুশল বিনিময় করে।প্রশাসনিক প্রটোকলে সভা সেমিনার চালায়।
হলি অার্টিজান হামলার অভিযুক্ত হাসানাত করিমরা পার পেয়ে যায়!
আদলতে আসামিকে ‘আইএসে’ এর টুপি পরিয়ে দেশকে কলঙ্কিত করা হয়!
পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের হাতে খোদ দেশের সেনাবাহিনী অসহায়!

সে দেশে নিরহ নির্দোষ আলেমদের গুম করে জঙ্গি তকমা দেওয়া হয়!
এ যেন ‘গরিবের বউ সকলের ভাবি’।
শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রাহ.কে জঙ্গি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বলে মিডিয়ায় প্রচার করা হয়!

আলেমদের এত বিপর্জয় হয়েছে যে,যিনি সারা জীবন সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার লড়াই করে গেলেন,তাঁকে হুজির প্রতিষ্ঠাতা বলে!!!
অতসময় পার হয়ে যায়, না একটা প্রতিবাদ করা হয়,না একটা বিবৃতি দেওয়া হয়,না একটা মিছিল করা হয়,মিডিয়া বা রিপোর্টকারীর বিরুদ্ধে মামলা করাতো দূর কী বাত!

আর কত বিপর্যয় হলে আপনারা থামবেন,একে অন্যের প্রতি খুচাখুচি বাদ দিবেন?
আল্লাহর ওয়াস্তে কামড়াকামড়ি বাদ দেন।বড় বিপর্যয় আসার আগে এজাতির হাল ধরেন।
জাতিকে বাঁচান,আল্লাহর কাছ থেকেও বাঁচেন।