রেসিংয়ে ইতিহাস গড়লেন সৌদি নারী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

নভেম্বর ২৪ ২০১৯, ১৬:৫০

রেসিং লাইনে দাঁড়িয়ে ঝা চকচকে এসইউভি গাড়িটি। আসনে বসে সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় চালক। সংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চার চাকায় গতির সঞ্চার করে ধোঁয়া উড়িয়ে বেগে ছুটে চলেছে গাড়িটি।

মাত্র এক বছর আগেও রক্ষণশীল সৌদি আরবে এমন দৃশ্য ছিল অকল্পনীয়। এটাই পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে গত বছরের জুন পর্যন্ত নারীদের গাড়ি চালানো নিষেধ ছিল। জুনে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর সরকারকে অভিনন্দন জানায় দেশটির নারীরা।

তারা এখন চালাচ্ছেন রেসিং কারও। কয়েক মাস আগেই সৌদির এই নারী দেশের মধ্যেই রেসিং কার চালিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন। জুফালি বলেন, গত বছরই গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।

কিন্তু আমি কখনোই ভাবিনি যে, আমি পেশাগত রেসার হিসেবে অংশ নেব। তিনি বলেন, ‘আমি যে কাজটি করছি তা সত্যিই খুব অসাধারণ। জেদ্দা থেকে আসা জুফালি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পড়াশোনা করেছেন।

তিনি এই রেসে ভিআইপি অতিথি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। নিজের দেশের মাটিতে রেসিং কার চালানো প্রথম নারী তিনি। এই পেশায় তার অভিজ্ঞতা মাত্র এক বছরের।’

জুনে লাইসেন্স পাওয়ার পর গত অক্টোবরেই প্রথম রেসে অংশ নেন তিনি। কলেজে পড়তে পড়তেই ফর্মুলা ওয়ানের প্রতি ঝোঁক বাড়ে রীমার। তারপর রেসিং কার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেন তিনি।

ফর্মুলা কার রেসিং স্কুলে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। জুফালির জন্ম জেদ্দায়। সেখানেই বড় হয়েছেন। দেশের বাইরে তিনি স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করেছেন। ফিরে এসে রেসিং শুরুর ইচ্ছে ছিল তার। শুধুমাত্র গাড়ি চালানোই নয়, কার রেসিংয়েও যে সে দেশের মেয়েরা কারও চেয়ে কম নয়, সেটা প্রমাণ করতেই তার এই পদক্ষেপ, জানান রীমা। রেসিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য পরিবারকে চার বছর ধরে বুঝিয়ে রাজি করিয়েছেন রীমা।

তিনি বলেন, যতজন তার কাজের বিরোধিতা করেছেন, তার দশ গুণ মানুষ তার সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। জিটি ৮৬ কার দিয়ে প্রথম রেসিং শুরু করেন তিনি। ডিসেম্বরে জিতেছেন একটি রেস।