ভারতের লোকসভায় পাস হলো বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ০৯ ২০১৯, ১৬:২৪

ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম পর্বে পাস হলো বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল।

সোমবার( ৯ ডিসেম্বর) বিলটি আলোচনার জন্য পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সোমবার ভারতের লোকসভায় বিলটি উত্থাপনের জন্য ভোটাভুটি হলে তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতা বিল উত্থাপনের পক্ষে ছিলেন। বিলটি যদি পাস হয় তাহলে দেশটির নিরপেক্ষ সংবিধানের মূলনীতি লঙ্ঘিত হওয়ার পথ তৈরি হবে।

দ্য সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (সিএবি) নামে ওই বিলের মাধ্যমে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন করা হবে। সোমবার দুপুরে লোকসভায় বিলটি উত্থাপন করা হবে কিনা এমন প্রস্তাব করা হলে এর পক্ষে ২৯৬ এবং বিপক্ষে ৮২জন ভোট দেন। ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভা ৫৪৩ আসনবিশিষ্ট।

সোমবার বিলটি উত্থাপন করা হবে কনিা এমন প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির সময় লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন ৩৭৫ জন আইনপ্রণেতা। অমিত শাহ দেশটির ছয় দশকের পুরোনো নাগরিকত্ব বিষয়ক আইনের সংশোধন করে প্রস্তাবিত বিলটি লোকসভায় পেশ করলে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসেসহ অন্যান্যরা বিরোধীরা তাদের আপত্তির কথা জানান।

তবে লোকসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বিলটি পাস করতে কোনো বেগ পেতে হবে না মোদি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সরকারকে। নিম্নকক্ষ লোকসভায় পাস হওয়ায় বিলটি এখন ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় উঠবে। সেখানে পাস হলে তা আইনে পরিণত হবে।

বিলের একাধিক অংশ নিয়ে আপত্তি তোলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। তার অভিযোগ, দেশের সংখ্যালঘু মানুষদের লক্ষ করেই এই বিলটি বানানো হয়েছে।

তবে অমিত শাহর অবশ্য দাবি করেছেন, এই বিল সংখ্যালঘুদের বিরোধী নয়। বিলটি নিয়ে বিতর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে হস্তক্ষেপ করতে হয় স্পিকার ওম বিড়লাকে।

বিলটিতে বলা হয়েছিল, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষ যারা ভারতে শরণার্থী হিসেবে রয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বিলটিতে ভিত্তিবর্ষ হিসাবে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ সালকে ধরা হয়েছে।