আলেম আর আওয়ামের মাঝে বিচ্ছিন্নতা তৈরির চেষ্টা চলছে: মাওলানা আব্দুল মালেক

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ২৬ ২০১৯, ১৫:৩৯

বিচ্ছিন্নতার ব্যাপারে আমাদের সতর্কতার সাথে এগুতে হবে। বিচ্ছিন্নতা শুধু আকিদার ব্যাপারে নয়, বরং দ্বীনের সকল মাসায়েলের ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্নতার প্রভাব রয়েছে। আমরা মনে করি, শুধু আকিদার মাধ্যমেই বিচ্ছিন্নতার সৃষ্টি হয়। আকিদা নয়, বরং সর্বক্ষেত্রে আমাদের মাঝে ঐক্য থাকতে হবে।

জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা সিলেটের শতবার্ষিকী ও দস্তারবন্দী মহাসম্মেলনের অন্যতম আকর্ষণ ২য় দিন আজ বৃহস্পতিবার উলামা সম্মেলনে মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া ঢাকার আমিনুত তালীম মাওলানা আব্দুল মালেক উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

প্রধান মেহমান হিসেবে মাওলানা আব্দুল মালেক আরও বলেন, দ্বীনের ব্যাপারে ইত্তেফাকের কোনো বিকল্প নেই। ছোটখাটো ইখতেলাফ পরিত্যাগ করে দ্বীনের উসুলের ব্যাপারে সবাইকে সমান হয়ে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে দারুল উলুম দেওবন্দ হবে আমাদের মাপকাঠি। শুযূয বা বিচ্ছিন্নতা থেকে বাঁচতে হলে উলামা-তুলাবাকে আকাবিরের লিখনী পড়তে হবে। তাঁদের মাকতুবাত, মালফুজাত পড়তে হবে।

মাওলানা আব্দুল মালেক আরও বলেন, আমাদের বর্তমান প্রজন্মের কিছু তরুণ আলেম শরীয়তের স্পর্শকারত বিষয়ে সিদ্ধান্তমূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব বিষয়ে তারা শুধু গবেষণালব্দ প্রমাণ উপস্থাপন করছে, তাহকিকি আলোচনা-সমালোচনা অনলাইন-অফলাইনে প্রচার করছে। বাস্তবতা হচ্ছে, তাদের মাধ্যমে শুধু তাহকিক ফুটে উঠছে কিন্তু তারা এর সমাধান কি, বা এসবের সুদূরপ্রসারী ফলাফল সম্পর্কে একেবারেই বেখেয়াল। এসব তরুণদের ব্যাপারে আলেমদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সতর্কতার পরিচয় দিতে হবে।
এসব তরুণদের কার্যকলাপে আওয়াম আর আলেমদের মাঝে পরিস্কার একটা বিচ্ছিন্ন ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। আলেমদের উপর থেকে আওয়ামদের আস্থা উঠে যাচ্ছে। মূলতঃ এটাও একটা শুযুয বা বিচ্ছিন্নতা। সুতরাং আমাদের খুব সতর্কতার সাথে চলতে হবে এবং আগামি নিয়ে ভাবতে হবে।

সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া উলামা সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আল্লামা শেখ আহমদ চট্টগ্রাম, জামেয়ার ছানী শায়খুল হাদীস আল্লামা নযীর আহমদ ঝিঙ্গাবাড়ী।

উক্ত উলামা সম্মেলনে অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মাওলানা শায়খ আব্দুল মতিন, মাওলানা হিফজুর রহমান, মাওলানা আহমদ মায়মুন, মাওলানা আবু সাবের আবদুল্লাহ, মাওলানা তাহমীদুল মওলা, মাওলানা লুৎফুর রহমান ফরায়েজী প্রমুখ।