দাখিল পরীক্ষায় নকল সরবরাহ; ৫ মাদরাসা শিক্ষকের জেল

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ফেব্রুয়ারি ০৩ ২০২০, ২৩:৩৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় দাখিল পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের (এমসিকিউ) উত্তর সরবরাহ করায় ৫ মাদরাসা শিক্ষককে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব এবং হল সুপারকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে আশুগঞ্জ সার কারখানা স্কুল কেন্দ্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিমুল হায়দার এ দণ্ড দেন।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিমুল হায়দার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দাখিল পরীক্ষার প্রথম দিনে কোরআন মাজিদ ও তাজবিদ পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা চলাকালে কোন দায়িত্ব না থাকা সত্বেও ওই পাঁচ শিক্ষক কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে কেন্দ্র সচিবের পাশের একটি কক্ষে বসে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ইউএনও ওই কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় উত্তরপত্র সরবরাহ করতে দেখা যায়। হাতেনাতে ওই পাঁচ শিক্ষককে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাঁচ শিক্ষককে সাজা দেওয়া হয়।

কারাদণ্ড পাওয়া শিক্ষকরা হলেন, আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার সহকারী সুপারিন্টেনডেন্ট মাজহারুল ইসলাম (৪২), একই মাদরাসার সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম (৩৫), খোলাপাড়া ওমেদ আলী শাহ দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপারিন্টেনডেন্ট মো. মহিউদ্দিন (৩৮), তালশহর করিমীয়া ফাজিল মাদরাসার প্রভাষক কবির হোসেন (৪০) ও সরাইল উপজেলার পানিশ্বর মাদানিয়া গাউছিয়া মাদরাসার সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট আব্বাস আলী (৫০)।

দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া দুই শিক্ষক হলেন, কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে থাকা আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এবিএম সিদ্দিকুর রহমান ও হল সুপারের দায়িত্বে থাকা নাওঘাট দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রউফ।