২৫০ ছড়ালো পেঁয়াজ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

নভেম্বর ১৫ ২০১৯, ১৭:১১

পেঁয়াজ শুধু রাজধানীতে নয়, সারাদেশে হু হু করে বেড়েই চলছে রান্নায় নিত্য প্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম। এমন অবস্থায় নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের।দিনে দিনে পেঁয়াজ সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পেঁয়াজের ঝাঁঝে আমজনতার ‘চোখে জল!’ আর কত বাড়বে পেঁয়াজের দাম? এ প্রশ্ন এখন ভোক্তাদের।

অভিযোগ, বাজার নিয়ন্ত্রণে না থাকায় বিক্রেতারা দাম হাকাচ্ছেন ইচ্ছে মতো। আর বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি কম হওয়ায় বাড়ছে সংকট

বাজারে মিশর থেকে আসা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা কেজি। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা কেজি।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি, ফকিরাপুল কাঁচাবাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, রামপুরা কাঁচাবাজার, খিলগাঁও রেলগেট বাজার কাঁচাবাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

বর্তমানে এসব বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১৫ টাকা কেজি দরে। মিয়ানমার থেকে আমদানি করা প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা দরে।

এদিকে, রাজধানীর শ্যাম বাজার পাইকারি বাজারে দেশি প্রতিকেজি পেঁয়াজ আকারভেদে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, মিয়ানমারের আকারভেদে ১৮০ থেকে ১৬০ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারে পাইকারি দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি আকারভেদে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অথচ এক সপ্তাহ আগে বাজারভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। মোটা পেঁয়াজ প্রতিকেজি (আমদানি করা) বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা।

পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে কথা বললে শ্যামবাজারের সোহেল স্টোরের মালিক বলেন, আজ পেঁয়াজের দাম অনেক বাড়তি। দেশি পেঁয়াজ শ্যামবাজারে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, আপনারাও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করেন। মিসরের পেঁয়াজ এখানে ২২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর শ্যামবাজার পাইকারি বিক্রেতা আরাফাত খান বলেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের আমদানি কম। আগে প্রতিদিন ভারত থেকে ৩০০ ট্রাক পেঁয়াজ আসতো। বর্তমানে না আসায় দাম বাড়ছে। সরবরাহ বাড়লে আবারও দাম কমে যাবে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।

নকীব আহমেদ নামে খিলগাঁও বাজারের এক ক্রেতা বলেন, অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় গত চার মাস ধরে ইচ্ছে মতো পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন। আবার সরকারিভাবে বাজার মনিটরিং হলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসতো।

এদিকে, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকসেলে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। সরকারি বন্ধের দিন ছাড়া ট্রাকসেলে প্রতিদিন ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ট্রাকসেলে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।

গত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অস্থির হয়ে উঠে পেঁয়াজের বাজার। ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। বাংলাদেশ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের ওপরই নির্ভরশীল। ফলে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়তে থাকে। বিশ-পঁচিশ টাকা কেজির পেঁয়াজ সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি পার করেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হওয়ার কারণেই এর দামের এই ঊর্ধ্বগতি।