৫মে :লাল শাপলা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ০৫ ২০১৯, ১৮:১৯

 

কে আই ফেরদৌস

আজ ৫ মে ৷ শাপলা চত্বরের শহীদদের ত্যাগের বদৌলতেই আজকে ইসলামপন্থীদের কাছে নাস্তিক, সেক্যুলারদের চরম নৈতিক পরাজয়। যারা বলেন সেদিন হেফাজতে ইসলাম চরম ভুল করেছিলো শাপলা চত্বরে জড়ো হয়ে। তাদের ধারণা যে ভুল, সেটা আজ প্রমাণিত।

শাপলা চত্বরে সেদিন হেফাজতে ইসলাম ডাক না দিলে ইসলামবিদ্বেষীদের মিলনমেলা শাহবাগস্রোতে ইসলামপন্থীরা কবেই যে ভেসে যেতো তা বলাই বাহুল্য।

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল, গ্রিক মূর্তি অপসারণ আন্দোলন , পাঠ্যপুস্তকে হিন্দু-নাস্তিক্যবাদ বাদ দেওয়া, টিভি টকশোগুলোতে আলেমদের অংশগ্রহণ, কওমী মাদরাসার শিক্ষাসনদের স্বীকৃতিতে ওদের জ্বলে-পুড়ে ছাই হওয়াসহ নানা ধর্মীয় বিষয়ে একটি সেক্যুলারভর্তি সরকারপ্রধানের সতর্ক অবস্থানই প্রমাণ করে হেফাজতে ইসলামই জয়ী।

অন্যান্য রাজনৈতিক ইসলামিক দল এতো বছরেও যা করতে পারেনি, হেফাজতে ইসলাম সেগুলো করে দেখিয়েছে। এটি অনস্বীকার্য যে, যা কিছু অর্জন তা নিশ্চয়ই অনেক ত্যাগের বিনিময়ে। তবে কথা হলো, ইসলামে ত্যাগ ছাড়া কি কখনও কিছু হাসিল হয়েছে?

হ্যা, হেফাজতে ইসলামের কিছু ভুল থাকতেই পারে, আছে অবশ্যই। তবুও আমি মনে করি, লোকসানের চেয়ে লাভই হয়েছে বেশী। কারণ শহীদের প্রতিটি রক্তকণাই কথা বলে, বিপ্লবের পথ খুলে দেয়।

৫মে সেই শাপলা চত্তরে থাকার সৌভাগ্য ছিলো না। ছিলাম সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে। ইংল্যান্ডে।
কিন্তু লাইভ দেখেছি, কীভাবে হাজার হাজার ঘুমন্ত নিরস্ত্র আলেমদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো কাপুরুষ রাষ্ট্রীয় বাহিনী! দেখেছি বুলেটের আঘাতে লুটিয়ে পড়া আলেমের রক্তাক্ত দেহ ছটফট করেছিলো গলাকাটা মুরগীর মতো!
দেখেছি, রাতের আধারে শুধু বুলেটের মুহুর্মুহু শব্দ, হৃদয়চেড়া আর্তচিৎকার! অসহায়ভাবে শুনেছি আল্লাহর ওলীদের কান্নার রোল!!

৫মে! তুমি এলে আমি ঘুমুতে পারি না রাতে।
ছটফট করি সারাদিন ৷ হৃদয়ে শুরু হয় কান্নার মিছিল। শাপলা চত্ত্বর আমাকে তাড়া করে ফিরে ‘দায়বদ্ধতার’ চাবুক নিয়ে…

আল্লাহ এই সকল শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে একটি আদর্শ সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করুন! জান্নাতে শহীদ ভাইদের মর্যাদা বাড়িয়ে দিন! বেঁচে থাকা শহীদ পরিবারের সকলকে উত্তম বদলা দান করুন! আমীন!

লেখক: সম্পাদক, একুশে জার্নাল ডট কম