হালুয়াঘাটে যুবককে মেরে আহত করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ১৫ ২০২৩, ০৯:০২

মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে হালুয়াঘাট উপজেলার নাগলা বাজারের ঠেঙ্গাবর গ্রামের রুস্তুম আলী ফকিরের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ০৮/০৪/২০২৩ রোজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুস্তুম আলী ফকির, রাসেল ফকির, কালাম ফকির, সায়েম ফকিরসহ আর‌ও অনেকেই রবিন ফকিরকে মেরে ফেলার জন্য তার উপর লোহার শাবল দিয়ে আক্রমণ চালায়। পরে এলাকাবাসী এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।

সূত্র জানায়, একই দিন সেহরির সময় নাগলা বাজারে রবিনের উপর আবারও আক্রমণ করা হয়। দেশীয় অস্ত্র দ্বারা তাকে আহত করলে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে কল করেন, পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করান। তাই ৯৯৯ এবিষয়ে একটি বড় সাক্ষী।

সূত্র আরো জানায়, ঘটনা ধামাচাপা দিতেই আক্রমণকারী রুস্তুম আলী ফকির ভিকটিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং আহত রবিনকে গত বুধবার সন্ধ্যায় হালুয়াঘাট হাসপাতাল থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে কোর্টে প্রেরণ করে।

সূত্র মতে, পুলিশ সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে এলে রুস্তমের পরিবার প্রত্যক্ষদর্শীদের হুমকি প্রদান করে এবং বানানো স্বাক্ষী দ্বারা পুলিশের কাছে স্বাক্ষ্য প্রদান করে এবং এই অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলায় নিরপরাধ আজিজুল ফকিরের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়।

অনেক প্রত্যাক্ষদর্শীর মধ্য থেকে সুমন ও লিটন নামের দুজন জানান, আহত রবিনকে হত্যায় ব্যর্থ হওয়ায় শারীরিক ও মানসিকভাবে পুলিশ দ্বারা হেনস্থা করাছে ষড়যন্ত্রকারীরা।

মামলার বাদী রুস্তম আলী ফকিরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রবিন প্রথমে আমার বাড়িতে হামলা করে আমার পুত্রবধূকে আহত করে। ৪৫ হাজার টাকা দামের অলংকার নিয়ে যায় এবং শনিবার দিবাগত রাতে আমার ছেলের উপর দলবদ্ধভাবে হামলা করে। হামলার পর আমি দেখে ফেললে তারা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় রবিন সংকীর্ণ গলিপথে পড়ে গিয়ে ব্যথা পায়। এছাড়াও রবিনের বিরুদ্ধে আরও নানান অভিযোগ আছে বলে তিনি জানান।

সরেজমিনে দেখা যায়, এ নিয়ে এলাকায় তীব্র নিন্দার ঝড় বইছে। প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে ও আহত রবিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করার দাবী জানান এলাকাবাসী।