হবিগঞ্জের নবীগজ্ঞে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ মুর্তি চোর চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের ইমামবাড়ী এলাকার এক নির্জন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হল, পৌর এলাকার তিমিরপুর গ্রামের আশরাফ উল্লার পুত্র উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদ (২৭), আবু মিয়ার পুত্র আলী হোসেন (২৫), আব্দুল মালিকের পুত্র এম.কে রাহুল (২৮), রাজনগর গ্রামের আশবদ উল্লার পুত্র সুরুজ আলী (২৫)।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েকটি মন্দিরে চুরির ঘটনায় হিন্দু সম্প্রাদায়ের লোকজনের মাঝে আতংক দেখা দেয়। মুর্তি চোর চক্রকে ধরতে ব্যাপক তৎপরতা চালায় পুলিশ।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ভোর রাতে ইমামবাড়ী এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে একটি ডাকাতদল, এমন খবর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ওসি (তদন্ত) গোলাম দস্তগীর আহমেদ, থানার সেকেন্ড অফিসার শামছুল ইসলাম, এস আই সামছুল ইসলাম, এস আই কাউছার আলমসহ একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি নির্জন স্থান থেকে তাদেরকে আটক করে। এ সময় তাদের সাথে থাকা বিষ্ণু মুর্তি, হাতুড়ি, দেশীয় ধারালো ছুরিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে থানার এস আই শামছুল ইসলাম বাদি হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করা হছে। এদিকে মূর্তি চোর চক্রকে আটকের খবরে হিন্দু সম্প্রাদায়ের লোকজনের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুর্তি চোর চক্রকে আটক করা হয়েছে। তারা ইমামবাড়ী এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল এমন সময় ডাকাতির সরঞ্জাম ও অস্ত্রসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

ওসি আরও জানান, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তি দিয়েছে মুর্তি চুরির সাথে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে এবং তাদের গুরুদের নামও বলেছে।