হবিগঞ্জের খোয়াই নদীতে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে ২৯ জুলাই মহাসমাবেশ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ১৪ ২০১৮, ১৬:১৭

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ খোয়াই বেরী বাঁধ ও সেতু রক্ষার দাবীতে এবং ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন বন্ধের প্রতিবাদে আগামী ২৯ জুলাই রোববার মহাসমাবেশ সফল করতে এক প্রস্ততি সভা অনুষ্টিত হয়েছে।

শনিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদুল হক এর সভাকক্ষে উক্ত সভা অনুষ্টিত হয়।

সৈয়দ আহমদুল হক এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহবুবুর হক আউয়াল, পইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈনুল হক আরিফ, গোপায়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী মিজবাহুল বারী লিটন, সদস্য মোঃ দুদু মিয়া, মোঃ আম্বর আলী, সাবেক মেম্বার মোঃ আব্দুস শহীদ, শায়েস্তানগরের মুরুব্বী মোঃ আব্দুল হক, মোঃ আবুল কালাম, ভাদৈ গ্রামের সিরাজ চৌধুরী, মোঃ মানিক মিয়া ও মোঃ আব্দুল বারীক প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, খোয়াই নদীর বাঁধ ও সেতু রক্ষা করতে হলে নদী অভ্যন্তরে গড়ে উঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ঝোঁপঝাড় অপসারন করা, বেরি বাধে স্থাপিত গাছপালা অপসারন করা, অবৈধ ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন বন্ধ করা, নতুন ভাবে বালু উত্তোলনে ইজারা না দেয়া, নদী পুণঃ খনন করা ও মশাজান ব্রীজ থেকে মাছুলিয়া ব্রীজ পর্যন্ত বেরি বাঁধ প্রশস্থ করে যান চলাচলের সুযোগ করা ।
ফলশ্রুতিতে জনগন কোন প্রকার ক্ষতিগ্রস্থ হলে এর দায়ভার প্রশাসন নিতে হবে।

শেষে দু’তীরে বসতি লোকজন নিয়ে স্থানে স্থানে আঞ্চলিক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায়।

বক্তারা বলেন, অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন এটি অন্যায়। বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তলদেশ গভীর হয়ায় বিভিন্ন স্থানে বেরী বাঁধ ধ্বসে নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে।

তাছাড়া হুমখির মুখে পড়েছে নদীর উপর নির্মিত খোয়াই সেতুগুলো। ফলে আতংকিত হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী লোকজন । হবিগঞ্জ শহর, নদীর বাঁধ, সেতু ও তীরবর্তি জনপদ রক্ষায় শিঘ্রই প্রশাসন অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করতে হবে।

অন্যতায় এর দায়ভার প্রশাসনই নিতে হবে। বক্তারা বলেন, মহাসমাবেশ সফল করতে সর্বস্তরের লোকজনকে সাথে নিয়ে রাজ পথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ।