স্যালভেশন এর ব্যাতিক্রমধর্মী প্রজেক্ট “হাইডেন”

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

আগস্ট ০৬ ২০১৯, ১৯:২৫

নামটা শুনে মনে প্রশ্নের উদয় হয়েছে “হাইডেন” এটা আবার কেমন নাম। তবে এই নামের মধ্য লুকিয়ে আছে অনেক কিছু।রয়েছে যথার্থতা।

আমাদের সমাজে অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী রয়েছে যারা টাকার অভাবে বই এবং শিক্ষা সামগ্রি কিনতে পারে না।আবার লোক লজ্জার ভয়ে কারো কাছে চাইতেও পারে না।যার ফলে অনেকেই লেখাপড়ার ইতি টেনে ফেলেন।

যার ফলে প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও স্যালভেশন নিয়েছে ব্যাতিক্রম উদ্যোগ। যার নাম দেওয়া হয়েছে প্রজেক্ট “হাইডেন”।

এই প্রজেক্ট এর মাধ্যমে অতি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বই এবং শিক্ষা সামগ্রি বিতরন করা হবে, তবে সমাজের কেউ জানবে না কাকে দেওয়া হচ্ছে এসব বই।অন্যান্য মানুষের মতো তাদেরকে দিয়ে প্রচারণা করা হবে না,তাদেরকে রাখা হবে হাইডেন অর্থাৎ সবার অজানা।

স্যালভেশন এর কর্মীরা নিজে তাদের কাছে গিয়ে বা বাসায় গিয়ে পৌঁছে দিবে এসব বই।

এই উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্যালভেশন এর স্বপ্নদ্রষ্টা বলেন স্যালভেশন সবসময় ভিন্নধর্মী কাজ করতে চায়।স্যালভেশন এর কর্মীদের কাছে সংগঠন এর প্রচারনা নয় বরং মানবিক কাজ করাই প্রধান লক্ষ্য। তবে হ্যা আমরা প্রচারনা করবো তবে সেটা কেবলমাত্র এই প্রজেক্টের বিষয়বস্তু তবে যাদেরকে বই এবং শিক্ষা সামগ্রি বিতরন করা হবে তাদের হাইড বা আড়ালে রেখে।এই প্রচারণাটা শুধুমাত্র অন্যান্য মানুষকে উৎসাহিত করা যেন তারাও সামাজিক এবং মানবিক কাজে এগিয়ে আসে।

আমরা বিশ্বাস করি আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার ফলে স্বপ্ন দেখবে তারা।

স্টাডি কোচিং সেন্টার এর শিক্ষক জনাব রাজিব বলেন স্যালভেশন এর এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।আমরা সামান্য সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে এত বড় একটা মহৎ কার্যক্রম এ অংশগ্রহন করতে পেরে সত্যিই আনন্দিত।ভবিষ্যতেও এই ধরনের কার্যক্রম এ আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।

উল্লেখ্য যে এই প্রজেক্টির মাধ্যমে ৯ জন শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিয়েছে স্যালভেশন যা কলেজ পর্যায়ের।

এর আগে এই বছরের জানুয়ারিতে এই প্রজেক্টের অধিনে স্কুল পর্যায়ে নেওয়া হয়েছিল ৬ জন এর দায়িত্ব যাদেরকে এখন পর্যন্ত সবধরনের সহযোগীতা করে আসছে স্যালভেশন।